এসডিজির ১৭ লক্ষ্য: পরামর্শক দলে ইউনূস, মেসি

২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বা এমডিজিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল আটটি৷ এমডিজি বাস্তবায়নে কয়েকটি ক্ষেত্রে ভালো সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ এবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজিতে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷

এসডিজির প্রথম লক্ষ্য বিশ্ব থেকে একেবারে চরম দারিদ্র্য দূর করা৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি করতে চায় জাতিসংঘ৷ বৈশ্বিক এই সংস্থার হিসাবে যাদের আয় দিনে সোয়া এক ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১০০ টাকা তারাই চরম দরিদ্র৷

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষুধা দূর করতে হবে এবং গরিব ও নবজাতক শিশু সহ যেসব মানুষ সংকটের মধ্যে আছে তাদের জন্য নিরাপদ, পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাবারের সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে৷

এক লক্ষ শিশু জন্মের বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা ৭০ এর নীচে নামিয়ে আনতে হবে৷ আর এক হাজার শিশুর জন্মের বিপরীতে নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা ১২-র নীচে নামাতে হবে৷ আর পাঁচ বছরের শিশু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি এক হাজারে ২৫ জনে নামিয়ে আনতে হবে৷

২০৩০ সালের মধ্যে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে৷

নারী ও মেয়েদের ক্ষেত্রে সব ধরণের লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হবে৷ ব্যক্তিগত ও জনজীবনে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সব রকমের (যেমন মানব পাচার, যৌন নির্যাতন) নির্যাতন বন্ধ করতে হবে৷

বিশ্বের সবাই যেন নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে৷ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করতে হবে৷ নারী ও মেয়েদের জন্য মলমূত্র ত্যাগের স্থান ঠিক করার বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে৷

এর মধ্যে আছে সাশ্রয়ী ও টেকসই জ্বালানি, আর্থিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো, রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে অসমতা, নিরাপদ শহর, সম্পদ ভোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক সম্পদ, ইকোসিস্টেম, সুবিচার ও টেকসই উন্নয়ন৷ এ সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপরের ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷

এসডিজি কর্মসূচির পরামর্শক গ্রুপে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, লিওনেল মেসি, শাকিরা সহ আরও ১২ জন৷ এই গ্রুপের দায়িত্ব হলো এসডিজি কর্মসূচির উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করা৷