এত কাছ থেকে কী ছবি তোলেন মার্টিন শ্যোলার?
কখনো বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তি যেমন বারাক ওবামা বা আঙ্গেলা ম্যার্কেল, কিংবা পপ তারকা তারকা রিহানা, কখনো নিতান্তই ঘরহীন একজন মানুষ মার্টিন শ্যোলার যখন বড় বড় পোট্রেট ছবি তোলেন তখন অদ্ভুত সব অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে৷
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বড় হওয়া শ্যোলার পরে নিউইয়র্কে ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন৷ তার বিখ্যাত কাজগুলোর বৈশিষ্ট্য হল ফ্রেমের বেশিরভাগ জুড়ে থাকবে মাথা৷ ক্যামেরাকে সাবজেক্টের চোখের সমান্তরালে বসিয়ে ছবি তোলেন তিনি৷ এতে একটি ভিন্ন রূপ যেন ফুটে ওঠে৷ এই দু’টি ছবি দেখুন৷ এর একটি জার্মান চ্যান্সেলরের৷
ড্র্যাগ কুইন, লস অ্যাঞ্জেলস
যেসব পুরুষ মেয়েদের পোশাকে সাজেন, তাদের সাধারণত ‘ড্র্যাগ কুইন’ বলা হয়৷ এটি তার সবচেয়ে সাম্প্রতিক সিরিজ৷ এই ছবিটি গত মার্চে তোলা৷ তিনি অবশ্য তার ড্র্যাগ কুইনদের পরিচয় প্রকাশ করেননি৷
নারী বডিবিল্ডার
যুক্তরাষ্ট্রে নারী বডিবিল্ডারদের শারীরিক কসরত দেখে অবাক হন শ্যোলার৷ তিনি তাদের শারীরিক গঠন ফুটিয়ে তুলতে আগ্রহী হন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই নারীদের দেখে আমি মুগ্ধ হই, যারা শরীরের মাংসপেশীর গঠন পরিবর্তন করে আমাদের আদর্শ সৌন্দর্য্যের ধারণাকে প্রশ্ন করেন৷’’
লার্স আইডিঙ্গার
লার্স আইডিঙ্গার একজন জার্মান অভিনেতা৷ মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে পরিচিত মুখ৷ জার্মান রেলওয়ে অপারেটর ডয়চে বানের ‘ডিবি মোবিল’ ম্যাগজিনের জন্য এই ফটো সিরিজটি তৈরি করেন শ্যোলার৷
জর্জ ক্লুনি
বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা ও পরিচালক জর্জ ক্লুনি মাস্ক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছিলেন৷ একটি নতুন চরিত্র তৈরির চেষ্টা করছিলেন৷ শ্যোলার সেই মুহূর্তটি বন্দি করেছেন এভাবে৷ একে বলছেন, ‘চিন্তাহীনতার ক্ষুদ্র মুহূর্ত’৷
জিদান ও শের
শ্যোলারের বড় মুখের এসব ছবিগুলোতে চামড়ার প্রত্যেকটি ভাজ, প্রত্যেকটি ব্রোণ, কিংবা দাগ চোখে পড়ে৷ কোন কিছু পরে এডিট করা হয় না৷ জিদান একটি ম্যাচে ইনজ্যুরড হবার পর বসেছিলেন ক্যামেরার সামনে৷
‘ক্লোজ আপ’ পোট্রেট সিরিজ
জার্মান ফুটবল সেলেব্রেটিদের অনেকেই এই সিরিজে ক্যামেরাবন্দি করেছেন শ্যোলার৷ ছবিতে জাতীয় কোচ ইওয়াকিম লো (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)-ও আছেন৷ শ্যোলারের টিম ছবি তোলার আগে কয়েক বর্গমিটার জুড়ে সেট বসান৷ সাবজেক্টের খুব কাছে গ্লাস প্লেট ক্যামেরাটি বসানো হয়৷ লেন্স থাকে চোখ বরাবর৷ এরপর ছবি তোলা হয়৷