একাদশ সংসদ নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা, আসন সংখ্যাসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
নিবন্ধিত দলের সংখ্যা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৯টি৷
মোট ভোটার
গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ভোটার বেড়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৩ হাজার ৪৭৭ জন৷ এ বছর মোট ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ, ৯০ হাজার ৪৮০ জন৷ ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন এবং ২০০৮ সালে ৮ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩ জন৷
নারী ভোটার
নারী ভোটারের সংখ্যাও এবার বেড়েছে৷ নারী ভোটারের মোট সংখ্যা ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন৷
পুরুষ ভোটার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন৷
প্রথম ভোটার
দেশের প্রায় ২২ শতাংশ ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে৷ এই তরুণদের বড় অংশ, প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ এবারই প্রথম ভোট দেবেন৷
ভোটকেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি৷ এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮৩টি এবং ভোটকক্ষ (বুথ) ২ লাখ ৯ হাজার ৪১৮টি৷ দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি ও ভোটকক্ষ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি৷ ভোটকেন্দ্রের নীতিমালায় বলা হয়েছে, গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি ও ৫০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে৷
ইভিএম কয়টি কেন্দ্রে
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ছয় আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রতিটি বুথে ৪৫০ জনের বেশি ভোটার না রাখতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে৷
সংসদের আসন সংখ্যা
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা৷ এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০৷ এর মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত৷ সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন৷
কবে ভোট
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার পর বা সংসদ ভেঙে দেওয়া পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়৷ বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সালে, তাই সংবিধানের ১২৩/২(ক) ধারা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়৷ সে অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷