একাদশ জাতীয় নির্বাচন যে কারণে আলাদা
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো৷ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল, বিএনপি তার নির্বাচনের ইতিহাসে সবচয়ে কম মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছে৷ ভোটের শতকরা হারের হিসাব এখনো চূড়ান্ত না হলেও, তা কোনেভাবেই শতকরা ৪-৫ ভাগের বেশি হবে না৷ অন্যদিকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে বিএনপির অনেকেই জামানত হারাবেন৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভোটের ব্যবধান অবিশ্বাস্য রকমের বেশি৷
সামরিক একনায়ক এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷ ঐ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে৷ কিন্তু ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করে তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপি৷ সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি৷ ফলে ১৯৯৬ সালের সেই বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বিএনপি টিকে থাকতে পারেনি৷ আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকার পদত্যাগ করে জুন মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়৷ সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে৷
ওয়ান ইলেভেনের পট পরিবর্তনের পর, ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ৷ কিন্তু আদালতের রায়ের আলোকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক বাদ দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার৷ ঐ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি-জামাত জোট ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলি৷ তারা নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়৷ নির্বাচনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷ আর আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে৷
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হলেও এবার সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়৷ আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়া দলের সংখ্যা ৩৯৷
গত ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ বিএনপির চেয়ারপার্সন খাদো জিয়া দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর, বিএনপি নির্বাচনে যেতে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়াও খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি শর্ত হিসেবে যোগ করে৷ এছাড়াও নিজেদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে দণ্ডিত ব্যক্তিও যাতে দলের নেতৃত্বে থাকতে পারে – এমন বিধান করে তারা৷ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয় লন্ডনে অবস্থানরত একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে৷
বিএনপি অবশ্য তাদের দাবি আদায়ে কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়৷ তবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহ জোগায়৷ নভেম্বরের প্রথম দিনই ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ ঐ সংলাপে বিএনপির প্রাধান্যে ঐক্যফ্রন্ট নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারসহ ৭ দফা দাবি পেশ করে৷ এরপর দ্বিতীয় দফা সংলাপ হলেও কোনো দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয় তারা৷ এরপর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে যায় বিএনপি৷
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক হিসেব-নিকেষে বিএনপি সরকারের আমলের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্প ধারাকে ফ্রন্টে টানতে ব্যর্থ হয়৷ অবশ্য তারা পায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে৷ শক্তি বাড়তে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ঐক্যফ্রন্ট৷ কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে এই ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে ঐক্যফ্রন্ট এবং ড. কামাল হোসেন৷ ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে মূল ‘ফোকাস' হিসেবে নির্বাচনি প্রচারে সামনে নিয়ে আসে৷
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নেয়৷ ১৪ দল ছাড়াও এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্প ধারা থাকে মহাজোটে৷ এরশাদকে নানা কৌশলে বাগে রাখতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ৷
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হিসেবে সামনে আসে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড'৷ ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের দিন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অনুপস্থিতির কথা বলে এসেছে৷ তারা তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে৷ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা৷ শুধু তাই নয়, তারা নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করে৷
বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর, অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত তাদের ওপর ২,৮৯৬টি হামলা হয়েছে৷ যাতে ন'জন নিহত হন, আহত হন ১৩ হাজার৷ দাবি করা হয়, অন্তত ১২ জন প্রার্থীর ওপর সরাসরি হামলা হয়েছে৷ এছাড়া ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়, ১৬ জন প্রার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয় আর নির্বাচনের আগের দিন, মানে শনিবার রাতে আরো এক হাজার জনকে আটক করা হয় বলে জানা যায়৷
ওদিকে আওয়ামী লীগ দাবি করে যে, তাদের ওপর হামলায় আওয়ামী লীগের ছ'জন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন ৪৪৫ জন৷ শুধু তাই নয়, তাদের গাড়িবহর ও নির্বাচনি কেন্দ্রে ১৭৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ আর গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে ৫৮টি৷
নির্বাচনের দিন, রবিবার, বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের ১০০ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন৷ সহিংসতায় ১৮ জন নিহতও হন৷ আহত হন ২০০ জন৷ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে নির্বাচন হয়৷ গাইবন্ধার একটি আসনে নির্বাচনের আগে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায়, ঐ আসনের নির্বাচন হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি৷ এছাড়া ভোটের দিন অনিয়ম-সহিংসতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়৷ এর মধ্যে ফল পাওয়া গেছে ২৯৮টি আসনের৷ সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম বাসস-এর দেয়া খবর অনুযায়ী, এর মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৯টি আসন৷ আর তাদের মহাজোটের শরীক এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২০টি আসন, মঞ্জুর জাতীয় পার্টি একটি, তরিকত ফেডারেশন একটি, বিকল্প ধারা দু'টি, ১৪ দলের ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি ও জাসদ(ইনু) দু'টি আসন পেয়েছে৷ এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি পাঁচটি এবং গণফেরাম দু'টি আসন পেয়েছে৷ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাশ করেছেন তিনজন৷
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট পেয়েছে মোট ২৮৮টি আসন৷ আর বিএনপির প্রাধান্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে সাতটি আসন৷ ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছিল ২৯৩টি আসন৷ তারপর এই প্রথম আওয়ামী লীগ এমন রেকর্ড সংখ্যক আসন পেলো৷
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এরইমধ্যে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তারা নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে৷ বলাবাহুল্য, সেই নির্বাচন তারা দাবি করেছে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷ ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতি হয়েছে৷ ২৭২টি কেন্দ্রে তাদের কোনো এজেন্টই দেয়া যায়নি৷ এখানেই শেষ নয়৷ প্রশাসনের সহায়তায় আগে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট ঢোকানো হয়েছে৷ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়৷ ২০১৪ সালে আমাদের নির্বাচনে অংশ না নেয়া যে সঠিক ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে৷''
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি সংসদে না যায় বা তাদের জয়ী সাতজন যদি শপথ না নেয়, তাহলে সেই আসনগুলোতে উপনির্বাচন হবে৷ এতে আওয়ামী লীগের পাল্লা আরো ভারী হবে৷ তবে এটা নিশ্চিত যে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসতে চলেছে এরশাদের জাতীয় পার্টি৷ গত সংসদেও তারা বিরোধী দল ছিল৷
এবারের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিলেও কোনো আসন পায়নি৷ ১৯৯১ সাল থেকে যেসব নির্বাচনে জামায়াত অংশ নিয়েছে, তাতে এবারই প্রথম জামায়াত কোনো আসনে জয়ী হতে পারল না৷ তবে এবার, নির্বাচনের দিন এক পর্যায়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় জামাত৷ ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির ১০০ জন প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে ভোটের দিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও, ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি কিন্তু নির্বাচন বর্জন করেনি৷ তারা ঘোষণা দিয়েই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিল৷
এই নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ ঐতিহাসিক এবং গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে জোট বাধায় জণগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে৷''
এবারে নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের গণতন্ত্র এবং মহাজোটের উন্নয়ন মূল ‘ফোকাস' থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ তথা জামায়াতে ইসলামী ইস্যুটিই সামনে চলে আসে৷ বিশেষ করে জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার পর এই বিতর্ক আরো প্রবল হয়৷
মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সলিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূল খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবারের নির্বাচনে বিরোধীরা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে কম আসন পেয়েছে৷ ভোটের ব্যবধানও অবিশ্বাস্য রকমের বেশি৷ এটাই এই নির্বাচনের সবচয়ে বড় ঘটনা৷ নির্বাচনের ছ'মাস আগে থেকে বিরোধী নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে, নতুন নতুন মামলা দেয়া হয়েছে৷ নির্বাচনে তারা এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারেনি৷ তাদের ওপর হামলা হয়েছে৷ তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা হয়েছে৷ এমনকি বিরোধীদের প্রচার-প্রচারণাও দৃশ্যমান হয়নি৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচনে মাঠে সেনাবাহিনী ছিল৷ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বার বার প্রতারকদের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে৷ অভিযোগ, সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতারকরা টাকা দাবি করছিল৷''
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে সবদলের অংশগ্রহণই এবারের নির্বাচনের প্রধান চিত্র৷ আমি দলীয় বলছি না৷ কারণ নির্বাচনকালীন সরকার দলীয় হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কথা নয়৷ এবারে সহিংসা হয়েছে, তবে তার মাত্রা আগের নির্বাচনের চেয়ে কম৷ তাছাড়া ভোট কারচুপির কথা যে বিএনপি বলছে, তা পুরো সত্য না হলেও আংশিক সত্য৷ কারণ আমরা ভোট বাক্স নিয়ে যেতে দেখেছি৷ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক কম ছিল৷ আর তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া খুব বেশি ‘ক্রিটিক্যাল' নয়৷ নির্বাচন কমিশন সঠিক মাত্রার দক্ষতা দেখাতে পারেনি৷ তবে এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে তেমন কোনো আতঙ্ক ছিল না৷''
তাঁর কথায়, ‘‘আরেকটি বিষয় হলো জামায়াত তার আসল পরিণতির জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে৷ জামায়াতের আসলে তত ভোট নেই, যত বলা হয়৷ তারা নানা কৌশলে ‘ওভার রেটেট' হতো৷ কিন্তু এবার তা হয়নি৷''
প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো জানান আমাদের, লিখুন মন্তব্যের ঘরে৷