1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ জানুয়ারি ২০১৫

জঙ্গিদের হামলায় ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক পত্রিকা ‘শার্লি এব্দো'-র প্রধান সম্পাদকসহ অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজন এবং মর্মান্তিক বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ'-এর আহসান হাবীব৷

https://p.dw.com/p/1EGhd
Paris Anschlag auf Charlie Hebdo - Solidarität in USA San Francisco
ছবি: Reuters/S. Lam

ডয়চে ভেলেকে আহসান হাবীব বলেন, ‘‘ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক পত্রিকা শার্লি এব্দো-র প্রধান সম্পাদকসহ অন্তত ১২ জনকে হত্যার বিষয়টি আমাকে কষ্ট দিয়েছে, মর্মাহত করেছে৷ এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না৷ তাঁদের ব্যঙ্গচিত্র যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে থাকে, তাহলে তা প্রতিকারের নানা পথ আছে৷ কাউকে হত্যা করে প্রতিকার পাওয়া যায় না৷''

তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবাদের ভাষা কখনো হত্যা হতে পারে না৷ প্রতিবাদ হতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিক৷'' তাঁর কথায়, ‘‘এই হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই৷''

সম্পাদক আহসান হাবিব এও মনে করেন, ‘‘ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি এব্দো মুসলমানদের মহানবীকে নিয়ে যে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে এক ধরণের উসকানি আছে৷ তারা একবার প্রকাশ করে তা আবারো তা পুনঃপ্রকাশ করেছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কোনো ধর্মপ্রচারককে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন হয় না৷ আমার মতে, সব বিষয়ে একটি সীমারেখা থাকা উচিত৷ কোনো পক্ষেরই সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়৷''

আহসান হাবীব বলেন, ‘‘দাড়ি নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করে আমরাও একবার বিপদে পড়েছিলাম৷ আমাদের চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছিল৷ এছাড়া রাজনৈতিক কার্টুন নিয়েও মাঝেমধ্যে ঝামেলায় পড়তে হয়, চাপ আসে৷ তবে তা কখনো হামলা বা শারীরীক নির্যাতনের পর্যায়ে যায়নি৷''

তাঁর কথায়, ‘‘কার্টুন বা ব্যঙ্গাত্মক উপস্থাপনা সর্বোচ্চ বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ৷ আর কোনো হুমকি বা নির্যাতনের মুখে এই কাজ বন্ধ হয়ে যাবে, তা নয়৷ বরং এই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ আরো এগিয়ে যাবে৷ তবে দুঃখ হয়, কখনো কখনো সরকার বা কর্তৃপক্ষ ‘তাদের' কাছে আত্মসমর্পণ করে৷''

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘‘বছর কয়েক আগে কার্টুনিস্ট আরিফ প্রথম আলোর রম্য ম্যাগাজিনে একটি কৌতূক কার্টুন করার পর, তাঁকে জেলে যেতে হয়৷ এখানেই শেষ নয়৷ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়৷ কিন্তু ঐ কার্টুনে মহানবী বা ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর কিছুই ছিল না৷ মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের স্বার্থে চাপ সৃষ্টি করেছে৷ আর সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ, যা দুঃখজনক৷'' তিনি মনে করেন, ‘‘তখন প্রথম আলো এবং সরাকারে উচিত ছিল কার্টুনিস্ট আরিফের পাশে দাঁড়ানো৷''

আহসান হাবীব জানান, ‘‘আরিফের এই একই কার্টুন এর আগে জামায়াতের একটি শিশু পত্রিকা ফুলকুঁড়িতেও ছাপা হয়েছিল৷ কিন্তু তাতে কোন সমস্যা হয়নি৷ তাতে কোন অপরাধ হয়নি৷ যখন একটি প্রগতিশীল পত্রিকায় ছাপা হল অমনি গায়ে লেখে গেল মৌলবাদীদের৷'

তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের দেশে দেশে নতুন রূপে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে৷ তাই আমাদের যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই দিয়েই সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য