এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বিভিন্ন দেশ
চ্যাটজিপিটিসহ জেনারেটিভ এআই বা সৃজনভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনলাইন টুলগুলো রীতিমত পুরো বিশ্বকে উলটে পালটে দিচ্ছে৷ এ অবস্থায় দেশে দেশে চলছে একে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের নানা কৌশল আবিষ্কারের চেষ্টা৷
অস্ট্রেলিয়া
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুলগুলো নিয়ন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ার সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছে৷ তারা তাদের প্রধান সায়েন্স অ্যাডভাইজরি বডির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে৷ একইভাবে আয়ারল্যান্ডও তাদের দেশীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছে৷
ব্রিটেন
ব্রিটেনের বাজার প্রতিযোগিতার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, তারা শিগগিরই গ্রাহক, ব্যবসা ও অর্থনীতির ওপর এআইয়ের প্রভাব খতিয়ে দেখবে, এবং সিদ্ধান্ত নেবে কোনো নতুন আইনের প্রয়োজন আছে কি না৷
চীন
এপ্রিল মাসে চীনের সাইবারস্পেস নিয়ন্ত্রক জেনারেটিভ এআই নিয়ে তাদের খসড়া ব্যবস্থাপনা উদ্যোগগুলো তুলে ধরেছে৷ তারা বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের এআই সেবা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার আগে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তা কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে নির্দেশ দিয়েছে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সম্প্রতি ব্লকের প্রথম আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যাক্টের খসড়া তৈরি করেছে৷ এই আইনের মূলে রয়েছে, কপিরাইট নিয়ন্ত্রণ৷ ইউরোপীয়ান ড্যাটা প্রটেকশন বোর্ড এপ্রিলে চ্যাটজিপিটির জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে৷ ইটালি মার্চে চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল৷ কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে৷ স্পেনও চ্যাটজিপিটি সীমা লঙ্ঘন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে৷
জি সেভেন
জাপানে সম্প্রতি গ্রুপ অফ সেভেন বা জি সেভেন দেশগুলোর বৈঠকে দেশগুলোর প্রযুক্তি মন্ত্রীরা একমত হয়েছেন যে, এআইয়ের ঝুঁকি সংক্রান্ত সাধারণ আইন তৈরি করা উচিত৷
যু্ক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন বলছে, তারা বিদ্যমান আইনেই নিয়ন্ত্রণ জোরদার করবে৷ ২৭ এপ্রিল সেনেটর মাইকেল বেনেট এআই নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স গঠনে নতুন বিল উত্থাপন করেছেন৷ বাইডেন প্রশাসন এ ব্যাপারে জনমত যাচাই করছে৷