উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
৬ মার্চ ২০১৭দক্ষিণ কোরিয়ার মুখপাত্র রো জে-চোন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন-উত্তর কোরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন টঙচ্যাঙ-রি এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়৷ তবে এগুলো ‘আন্তর্মহাদেশীয় দূরভেদী ক্ষেপণাস্ত্র' বা আইসিবিএম নয় বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আইসিবিএম হলে তাত্ত্বিক হিসাবে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত আঘাত হানতে পারার কথা৷
এদিক, টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তমোমি ইনাদা জানিয়েছেন, কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়েছে৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সংসদকে বলেন, এই ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার কাছে ‘শক্ত প্রতিবাদ' পাঠানো হয়েছে৷ এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিয়ো-আন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জা ছুড়ে দেয়ার মতো ঘটনা৷ চীনের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁর দেশ শিগগিরই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা স্থাপন করবে বলেও জানান তিনি৷
এদিকে, চীনও উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেছে৷ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ভঙ্গ করা উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপের বিরোধী চীন৷'' উল্লেখ্য, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহারে উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷
যৌথ অনুশীলনের কারণে
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র গত বুধবার থেকে যৌথভাবে তাদের বার্ষিক সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে৷ উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে তড়িৎ কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া যায় তা এই অনুশীলনে চর্চা করা হয়৷ কিন্তু উত্তর কোরিয়া বরাবরই এই অনুশীলনকে যুদ্ধের প্রস্তুতি বলে আখ্যায়িত করে থাকে৷ সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ যৌথ ঐ অনুশীলনেরই প্রতিবাদ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ গত বছরও অনুশীলনের সময় দীর্ঘ দূরত্বের (লং রেঞ্জ) একটি রকেট নিক্ষেপ করেছিল উত্তর কোরিয়া৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)