উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করে ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশন
৭ অক্টোবর ২০০৮বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা যারা কোন রকমের আর্থিক সাহায্য ছাড়া জার্মানিতে ইতিমধ্যে পড়াশোনা বা ডক্টরেট করছে তাদের সাহায্য করে থাকে এই সংগঠনটি৷ গ্র্যাজুয়েশন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন বা ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য এই সংস্হাটি আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে৷ এই সংগঠন থেকে আর্থিক সাহায্য পাবার অন্যতম শর্ত হচ্ছে জার্মানিতে থাকা অবস্হায় এই সংস্হায় আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে হবে৷
অন্যান্য যে সব শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে সেগুলো হল:
- শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য সংগঠনটি আর্থিকভাবে সাহায্য করবে৷
- বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণার কাজ অবশ্যই জার্মানিতে করতে হবে৷
- চিকিত্সা বিদ্যার জন্য এই সংগঠনটি আর্থিকভাবে সাহায্য করে না৷
অন্যান্য আরো শর্তের মধ্যে আছে, ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষার ফলাফল গড়হারের ওপর হতে হবে৷ যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করা হবে সে বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা বৃত্তি পেতে সাহায্য করবে৷
ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পাবার জন্য প্রার্থীকে প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আবেদন পত্র পাঠাতে হবে৷ এর সাথে সিভি-এর একটি কপি, এবং সব সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি৷ প্রার্থীকে যোগ্য মনে হলে সংগঠন নিজেই প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করবে৷ অন্যান্য যে সব কাগজ পত্র জমা দিতে হবে তা হল:
- টেস্টিমনিয়ালের একটি কপি এর সাথে সব মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের সব কপি এর সাথে মার্কশিট৷
- জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রমাণপত্র৷
- অন্তত দুজন প্রফেসারের কাছ থেকে টেস্টিমনিয়ালের কপি এবং এ দুটি কপি প্রফেসারদের সরাসরি ফাউন্ডেশনে পাঠাতে হবে৷
- প্রাথীর আর্থিক অবস্হার বিশদ বিবরণ৷ এখানে উল্লেখ করতে হবে কেন প্রার্থীর বৃত্তির প্রয়োজন৷
এছাড়াও ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীদের আনুষাঙ্গিক যে সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- যে বিষয়ে গবেষণা করা হবে প্রার্থীর নিজ দেশ তা থেকে কতটা লাভবান হবে তার একটি প্রমাণ৷
- যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণা করা হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিঠি যাতে অবশ্যই লেখা থাকতে হবে যে প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনুষদের সব শর্ত পূরণ করেছে৷
- গবেষণার বিষয়বস্ত বা রিসার্চ প্রোপোজালের একটি বিশদ বিবরণ৷
সব কাগজ পত্র পাবার পর প্রার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে ফাউন্ডেশনের সিলেকশন কমিটি৷ সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণত ছয় মাসের মত সময় নেয়া হয়৷ আবেদন পত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই৷
ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনের বাজেট প্রায় ১০৯ মিলিয়ন ইউরো৷ সব মিলে প্রায় ১০০টির ও বেশি দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের এ পর্যন্ত এই সংস্হাটি আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে এবং করে যাচ্ছে৷
কোন ছাত্র বা ছাত্রী যদি তার স্বামী বা স্ত্রীকে জার্মানিতে নিয়ে আসতে চান তাহলে আলেকজান্ডার ফন হুম্বোল্ট ফাউন্ডেশনের মত ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনও গোটা পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবে৷ প্রতিমাসে স্বামী বা স্ত্রী এবং বাচ্চাদের জন্য আলাদা খরচ এই সংগঠনটি বহন করবে৷ কোন প্রার্থী মাসে কত টাকা পাবে তা নির্ভর করবে তার প্রোগ্রামের ওপর৷
ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশন প্রার্থীদের কাছ থেকে যা আশা করে তা হল প্রার্থী নিয়মিত ক্লাশ এবং বিভিন্ন ধরনের সেমিনারে অংশগ্রহণ করবে৷ পরীক্ষায় বা থিসিসের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করবে৷
ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালে এবং এর নামকরণ করা হয় জার্মানির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফ্রীডরিশ এবার্টের নামানুসারে৷ ১৯৩৩ সালে নাত্সী সরকার এই সংগঠনটি বন্ধ করে দেয় এবং ১৯৪৭ সালে সংগঠনটি আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তারপর থেকে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷
ফ্রীডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনটির দুটি অফিস জার্মানিতে অবস্হিত একটি বার্লিনে এবং আরেকটি বন-এ৷ ঠিকানা:
Friedrich-Ebert-Stiftung
Press and Information Unit
Hiroshimastraße 17
D- 10785 Berlin
Germany
Tel: 0049 (0) 30 269 35 924
Fax: 0049 (0) 30 269 35- 951
Email: [email protected]