ইস্তফা দিলেন কমলনাথ
২০ মার্চ ২০২০হার নিশ্চিত ছিল, তাই আর শক্তিপরীক্ষায় গেলেন না মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শে শক্তিপরীক্ষার আগে তিনি রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিলেন। ফলে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারালো কংগ্রেস এবং বিজেপি আরও একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই স্পিকার ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ইস্তফা স্বীকার করে নেন। এ ছাড়া বিজেপি থেকেও একজন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর ইস্তফাও গ্রহণ করে নেন তিনি। আগেই ছয় জন বিধায়কের ইস্তফা তিনি গ্রহণ করেছিলেন। ফলে পরিস্কার হয়ে যায়, কমল নাথের পক্ষে আর ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব নয়।
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী এবং বর্তমানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রবল সমালোচনা করেছেন কমল নাথ। একই সঙ্গে সমালোচনা করেছেন বিজেপি'র। তাঁর দাবি, ''সকলে দেখেছেন, কীভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হল। কীভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিল বিজেপি। কীভাবে ক্ষমতালোলুপ মহারাজা তাঁর অনুগামী ২২ জন লোভী বিধায়ককে প্রভাবিত করলেন।'' গোয়ালিয়ার রাজপরিবারের সন্তান বলে জ্যোতিরাদিত্যকে তাঁর অনুগামীরা 'মহারাজ' বলে ডাকেন।
বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এ বার সরকার গঠনের দাবি পেশ করবেন। ২৩ জন বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হওয়ার পর তাঁর কাছে সরকার বানাবার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা আছে। তবে তাঁর ও কমল নাথের সামনে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হবে, ওই ২৩টি আসনে যখন উপনির্বাচন হবে, তখন দলকে জিতিয়ে আনা। কমল নাথ তখন যদি দলের প্রার্থীদের জেতাতে পারলে আবার মধ্যপ্রদেশে পালাবদল হতে পারে। না হলে বাকি সাড়ে তিন বছর তাঁকে বিরোধী আসনেই বসতে হবে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)