ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞায় গাজায় পেপসি কারখানা বন্ধ
কারখানা মালিকের অভিযোগ, ইসরায়েলের কারণে ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন সম্ভব হচ্ছে না, গাজার মানুষরাও পারছেন না পেপসি গাজার কোমল পানীয় দিয়ে তৃষ্ণা মেটাতে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
গাজা সীমান্তে ইসরায়েল ও মিশরের নিয়ন্ত্রণ
গাজা সীমান্ত এখন ইসরায়েল ও মিশরের কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণে৷ দেশ দুটি মনে করে, সীমান্ত দিয়ে হামাসের কাছে যাতে অস্ত্র বা অস্ত্র তৈরির রসদ যেতে না পারে- তা নিশ্চিত করতে এমন নিয়ন্ত্রণ আরোপ খুব জরুরি৷
সাম্প্রতিক যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা
সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে ১১ দিনের যুদ্ধ চলার সময় সীমান্ত দিয়ে গাজায় পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল৷ গত সোমবার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে কিছু পণ্য রপ্তানি শুরু করলেও কার্বন ডাই অক্সাইড এবং বোতলজাত পণ্যের কারখানার জন্য অপরিহার্য সিরাপ এখনো পাচ্ছে না গাজা৷
পেপসি গাজায় নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা
কার্বন ডাই অক্সাইড ও বিশেষ ধরনের সিরাপের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজার পেপসি কারখানা পড়েছে মহাসংকটে৷ সেভেনআপ আর মিরিন্ডার মতো কোমল পাণীয়ও বোতলজাত করা হয় এই কারখানায়৷ সোমবার থেকে কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ৷
ঘরে ফিরে গেছেন ২৫০ জন কর্মী
পেপসি গাজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হামাম আল-ইয়াজেজি বলেন, ‘‘কাঁচামাল শেষ হয়ে গেছে৷ তাই দুর্ভাগ্যজনকভাবে কারখানাটাই বন্ধ করে দিতে হলো৷ কারখানার ২৫০ জন কর্মী বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷’’
৬০ বছরে এই প্রথম
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পেপসি গাজা এই প্রথম বন্ধ হলো৷ বন্ধ হওয়ার মাত্র একদিন আগে সাড়ম্বরে প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি উদযাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন হামাম আল-ইয়াজেজি৷ কিন্তু এখন শূন্য থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা পেপসি গাজার কর্মীদের কথা ভেবে কান্নাভেজা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘‘৬০ বছর পূর্তি উদযাপনের বছরটা তো একেবারে অন্যরকম হওয়ার কথা, অথচ উদযাপনের সুযোগ থেকেও আমরা বঞ্চিত হলাম৷’’