ইসরায়েলে আইএস হামলা, মৃত দুই, আহত ১০
২৮ মার্চ ২০২২ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আইএসের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত আক্রমণকারীরা আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছে।
হামলার খবর আসার পরেই প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ঘটনাস্থলে যান।
এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে
ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে, দুই আক্রমণকারীকে গুলি করে মারা হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, চারজন আহত হয়েছেন। দুইজনের অবস্থা সংকটজনক।
ইসরায়েলের জাতীয় এমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, একজন পুরুষ ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
টাইমস অফ ইসরায়েল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কথা তুলে জানিয়েছে, যারা আহত হয়েছেন, তার মধ্যে দুই জনের বয়স ২০ বছর বা তার বেশি। এছাড়া একজন ৪৫ বছর বয়সি পুরুষ ও একজন বছর ২০-র নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের মিডিয়া যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, দুইজন বন্দুকধারী গুলি চালাতে থাকে। তাদের গায়ে গুলি লাগা পর্যন্ত তারা গুলি চালায়।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্ডার গার্ডের কয়েকজন সদস্য কাছেই একটি রোস্তোরাঁতে ছিলেন। তারা দৌড়ে আসেন এবং গুলি করে আক্রমণকারীদের মারেন।
আক্রমণের পিছনে কে?
পুলিশ আক্রমণকারীদের কোনো পরিচয় দেয়নি। তারা শুধু আক্রমণকারীদের জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে। টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, পুলিশ বলেছে, ওই দুই সন্ত্রাসী আরব-ইসরায়েলি ছিল।
হাদেরার কাছে যে শহরে আরব-ইসরায়েলিরা বসবাস করেন, সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, এই আক্রমণ হলো বীরত্বপূর্ণ অপারেশন। ''ইসরায়েল আমাদের মানুষের বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছে, এই আক্রমণ হলো তার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।''
ইসলামিক জেহাদ নামের আরেকটি গোষ্ঠী বলেছে, ''আমাদের উপর যে আক্রমণ হচ্ছে, এই আক্রমণ হলো তার জবাব।''
কূটনৈতিক সম্মেলনের মধ্যে
দক্ষিণ ইসরায়েলে এখন অ্যামেরিকা, আরব ও ইসরায়েলের কূটনীতিকদের শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিংকেনও সেখানে আছেন। তিনি এই আক্রমণের নিন্দা করেছেন।
জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)