ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে
১৩ জানুয়ারি ২০০৯আধুনিক ভারি অস্ত্রধারী ইসরায়েলী বাহিনীর মোকাবেলা করছে হামাস যোদ্ধারা বোমা ও হালকা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে৷ এ অবস্থায় সেখানে সাধারণ মানুষ হতাহত হবার ঘটনা বাড়ছে৷ যুদ্ধের ভয়াবহতম এই রূপ নেয়ার এই পর্যায়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল আমার জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে৷ ইসরায়েল আমাদের শত শত মানুষকে হত্যা করেছে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিশেষ বাহিনী স্থল এবং আকাশ থেকে হামলা জোরদার করেছে৷ তারা গাজার বেসামরিক আবাসিক এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়েছে বলে প্রকাশ৷ গত সোমবার রাতভর বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলী বাহিনী৷ আর আজও তা অব্যাহত৷ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলী ট্যাংক বহর আশ শেইখ আজলিন, জাইতুন এবং তাল আল হাওয়া এলাকায় প্রবেশ করেছে৷ ইসরাইলের হেলিকপ্টার গানশিপগুলোর মাধ্যমে এবং যুদ্ধ জাহাজ থেকে কামানের গোলা ছুঁড়ে ট্যাংক বাহিনীকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে৷
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্যালেস্টাইনে এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, এ হামলায় বেসামরিক মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন৷ অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বানের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিপি লিভনি বলেন, আর্ন্তজাতিক সমাজের কাছে আমাদের অনুরোধ এই যুদ্ধে আমাদের শরিক হন৷ আর্ন্তজাতিক সমাজকে আমাদের আরও অনুরোধ আমাদের কাজ অব্যাহত রাখার জন্য সময় দিন৷
একই সঙ্গে বেশ কঠোর ভাষায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, হামাস যতদিন রকেট হামলা চালিয়ে যাবে ততদিন তারাও আক্রমণ অব্যাহত রাখবে৷ এদিকে, ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গাজায় সৃষ্ট ঘটনার জন্য দায়ী হামাস৷
এদিকে, হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয় সুনিশ্চিত - এ কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনী শহীদদের রক্ত অচিরেই সেই বিজয় ছিনিয়ে আনবে৷
তিনি হামাস পরিচালিত টিভি চ্যানেল আল আকসায় প্রচারিত এক ভাষণে ফিলিস্তিনী জনগণকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেছেন, আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, কোনদিনই গাজার পতন হবে না৷ মিশরে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনার জন্য হামাসের প্রতিনিধি প্রেরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধ করে গাজা থেকে সকল আগ্রাসী সেনা প্রত্যাহার এবং প্রতিটি ক্রসিং খুলে দেয়ার দাবি মেনে নেয়া হলেই কেবল হামাস যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে৷