ইউরোভিশন
৩১ মে ২০১২সুইডেন'এর হয়ে এবার ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৮ বছর বয়স্কা সংগীত শিল্পী লোরিন৷ টেকনো-পপ আঙ্গিকের ‘ইউফোরিয়া' গানটি গেয়ে তিনি ছিনিয়ে নেন ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন সংগীত প্রতিযোগিতার জয়ের মুকুট৷
১৯৯৯ সালের পর আবার বিজয়ী দেশ সুইডেন, এ নিয়ে মোট পাঁচবার জয় করলো ‘ইউরোভিশন'৷ ভুলে গেলে চলবে না, ১৯৭৪ সালে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'-এর মধ্য দিয়েই আন্তর্জাতিক পপ সংগীতের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিল সুইডেনের কিংবদন্তি সংগীত গোষ্ঠি ‘আবা'৷
এবারের ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'-এ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে রাশিয়া৷ ৬৬ থেকে ৭৬ বছর বয়স্ক ছয় সদস্যের এক মহিলা সংগীত গোষ্ঠী ‘পার্টি ফর এভরিবডি' গানটি দিয়ে জয় করেছে অসংখ্য শ্রোতা-দর্শকের মন৷ আর জেলিয়েকো ইয়োক্সিমভিচ'এর ব্যালাড আঙ্গিকের গানের মধ্য দিয়ে সার্বিয়া অধিকার করে নেয় তৃতীয় স্থান৷
এই সংগীত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউরোপের প্রতিটি দেশের একজন সংগীত শিল্পী বা একটি গোষ্ঠি প্রতিনিধিত্ব করতে পারে৷ প্রতি বছর আগের বছরের বিজয়ী দেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'৷ ২০১১ সালের বিজয়ী দেশ আজারবাইজান৷ তাই বাকুতে অনুষ্ঠিত হলো অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ এই অনুষ্ঠানটি ৷ প্রতিযোগিতায় ২৬টি দেশের শিল্পী বা প্রতিনিধির বিভিন্ন ধারার সংগীতে ভরপুর ছিল এই অনুষ্ঠান৷
‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'-এ বিজয়ী নির্বাচিত হন টেলিফোনের মাধ্যমে গোটা ইউরোপব্যাপী টেলিভিশন দর্শকদের ভোটে৷ তবে নিজের দেশের প্রতিনিধিকে ভোট দেয়া যায় না৷ ১৯৫৬ সালে ‘ই বি উ' বা ‘ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন'-এর উদ্যোগে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট' শুরু হয়৷ এর পর থেকে জার্মানি এ অবধি জয়ের শিরোপা পেয়েছে দু'বার, ৮২ এবং ২০১০ সালে৷ জার্মানির হয়ে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নবীন সংগীত শিল্পী রোমান লব৷ তাঁর ‘স্ট্যান্ডিং স্টিল' গানটি অষ্টম স্থান অধিকার করে৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ