ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা, জানালো আদালত
১৭ ডিসেম্বর ২০২১রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ইউক্রেনের ভিতরে রাশিয়ার সেনা আছে। নিয়মিত সেই সেনার কাছে খাবার যায়। একটি মামলার বিচার করতে গিয়ে সরাসরি এ কথা মেনে নিয়েছে রাশিয়ার একটি আদালত। পরে ক্রেমলিন জানিয়েছে, আদালতের রায়ে 'ভুল' আছে। যে খাবারের কথা বলা হয়েছে, তা সেনার জন্য নয়, মানবিক কারণে ওই খাবার পাঠানো হয়।
মামলাটির সঙ্গে অবশ্য সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। যে ব্যক্তি মামলা করেছেন, তিনি সেনা বাহিনীকে খাবার পাঠান। অর্থাৎ, কেটারার। সেনা অফিসারদের ঘুস দিয়ে তিনি এই ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ। সেই সূত্রেই মামলাটির শুনানি চলছিল। সেখানেই জানা যায়, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে দোনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সেনার জন্য খাবার যায়। এই অঞ্চলটি ইউক্রেনের মধ্যে পড়ে। বিচারকও তার রায়ে দোনবাসে খাবার যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিচারক লিওনার্ড শোলোখভ তার রায়ে লিখেছেন, 'পিপলস রিপাবলিক অফ দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার সেনা বাহিনী আছে।' এই দুইটি অঞ্চলই আসলে ইউক্রেনের মধ্যে পড়ে। শুনানির সময় সাক্ষীরা আদালতকে জানিয়েছেন, প্রতি দুই সপ্তাহে ৭০টি ট্রাকের একটি কনভয় ওই অঞ্চলে খাবার পৌঁছে দিতে যায়। সেনার জন্যই সেই খাবার যায়।
বৃহস্পতিবারও রাশিয়া জানিয়েছিল, সীমান্তে সৈন্য থাকলেও ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রাশিয়া কখনোই সৈন্য পাঠায়নি। কিন্তু ইউক্রেন বার বার দাবি করছিল, তাদের সার্বভৌম জমিতে রাশিয়া সৈন্য পাঠিয়ে যুদ্ধের আবহাওয়া তৈরি করছে। যা নিয়ে অ্যামেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকলেই সরব হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া কোনোভাবেই তা মানতে চাইছিল না। এ দিন রাশিয়ার আদালত এমন কথা জানানোয় বিপাকে পড়েছে ক্রেমলিন। আদালতের রায়কে 'ভুল' বলতে হচ্ছে তাদের।
ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার আদালতের রায়েই পরিষ্কার, এতদিন ধরে তাদের দাবি সঠিক ছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এরপর যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো জটিল হলো। যুদ্ধের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল এই বিতর্ক।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)