ইইউ'র হুমকিতে বাংলাদেশের নতি স্বীকার
২৯ অক্টোবর ২০১৭জার্মানির একটি সংবাদপত্র রবিবার জানিয়েছে যে, যেসব দেশ শরণার্থীদের ফেরত নিতে সহযোগিতা করছে না, সেসব দেশের উপর ভিসায় কড়াকড়ি আরোপের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ৷
'ভেল্ট আম সনটাগ' পত্রিকা লিখেছে, সেসব দেশের মানুষরা যাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বৈধভাবে প্রবেশের ভিসা সহজে না পায় - সেই উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ ইউরোপীয় কমিশন জার্মান পত্রিকাটিকে এটাও নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশের উপর এ ধরনের চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে দেশটির সরকার শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয়৷ বাংলাদেশ এখন এক্ষেত্রে ইইউ'র শর্তাবলী মেনে চলছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি৷
গত বসন্তে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশের নাগরিক৷ বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়ায় এখন আরো কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে ইইউ৷
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের ইইউ'র এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ 'ভেল্ট আম সনটাগ' পত্রিকাকে তিনি জানান যে, রাজনৈতিক আবেদন বাতিল হওয়া শরণার্থীদের ফেরত নিতে যদি কোনো দেশ নিয়মিত জটিলতা করে, তাহলে সেই দেশের উপর ভিসা কড়াকড়ি আরোপের যৌক্তিকতা রয়েছে৷
ডেমেজিয়ের স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে শরণার্থী ফেরত নেয়া সংক্রান্ত চুক্তি এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইইউভুক্ত সব দেশ মিলে ভিসা কড়াকড়ির চাপ দিলে তাতে কাজ হয়৷
তবে সব রাজনীতিবিদ ইইউ'র এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন৷ জার্মানির বাম দলের সহ-সভাপতি কাটিয়া কিপিং এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বাম দল শরণার্থী ফেরত নিতে অনীহা দেখানো দেশগুলোর উপর ভিসা কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। কেননা ভুল মানুষদের উপর, অর্থাৎ সেসব দেশের পর্যটক, শিক্ষার্থী বা কর্মজীবী মানুষদের উপর, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷''
ইইউ'র এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্পের বিতর্কিত চর্চার সঙ্গে তুলনা করে কিপিং বলেন যে, ‘‘এভাবে একটি দেশের সরকারের নীতির কারণে সেদেশে সাধারণ মানুষদের দায়ী করা হচ্ছে৷''
এআই/ডিজি (ভেল্ট আম সনটাগ, ডিপিএ)