ইইউ-তে রাজনৈতিক আশ্রয়
২১ জুন ২০১৪যুদ্ধবিগ্রহ ও সংঘাত থেকে পলায়নপর মানুষদের কাছে ইউরোপ একটা স্বপ্ন বৈকি৷ অপরদিকে অর্থনৈতিক সংকটপীড়িত ইউরোপে এই অভিবাসীদের চাকরি এবং সামাজিক সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে অন্যায় ভাগীদার হিসেবে মনে করে থাকেন অনেক ইউরোপীয়৷
তা সত্ত্বেও গতবছর ১,৩৫,৭০০ মানুষ ইইউ-তে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট' গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস উপলক্ষ্যে এই সব খুঁটিনাটি প্রকাশ করে৷ সেই খুঁটিনাটিতে প্রথমেই যা চোখে পড়ে, তা হলো এই যে, ২০০৫ সাল যাবৎ ইইউ-তে আর কখনো এত বেশি মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি৷
এ তো যাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ ২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশ মিলিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন ৪,৩৫,০০০ মানুষ৷ তাঁদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই ছিলেন সিরিয়া অথবা রাশিয়ার মানুষ৷ যাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন, তাঁদের তালিকাতেও সিরিয়া সর্বোচ্চ: ৩৫,৮০০, যা কিনা ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ৷
দ্বিতীয় স্থানে আছেন আফগানরা: তাঁদের মধ্যে ১৬,৪০০ জন রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন৷ তৃতীয় স্থানে আছেন সোমালিরা: তাঁদের মধ্যে ৯,৭০০ জনের আবেদন সফল হয়েছে৷ সিরীয়দের প্রায় ৬০ শতাংশ আশ্রয় পেয়েছেন সুইডেনে ও জার্মানিতে; আফগানরা গেছেন প্রধানত জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ইটালি ও বেলজিয়ামে; সোমালিরা আশ্রয় খুঁজেছেন নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং ইটালিতে৷
সুইডেন ও জার্মানি সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিয়েছে, উভয় দেশে ২৬ হাজারের বেশি৷ তৃতীয় স্থানে ফ্রান্স, ১৬,২০০৷ চতুর্থ ইটালি, ১৪,৫০০৷ পঞ্চম ব্রিটেন, সেখানে আশ্রয় পেয়েছেন ১৩,৪০০ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী৷ এই পাঁচটি দেশ মিলিয়ে ইইউ-র ৭০ শতাংশের বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিয়েছে৷ অপরদিকে এস্টোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়া ১০০ জনের কম করে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নিয়েছে৷
সুইডেনের জনসংখ্যা ৯৬ লাখ, অথচ তারাই গতবছর সবচেয়ে বেশি মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে: ২৬,৪০০৷ জার্মানির জনসংখ্যা সুইডেনের দশগুণ হলেও, জার্মানি মাত্র ২৬,১০০ মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)