ইইউ-তে যাচ্ছেন না ম্যার্কেল
১৬ মে ২০১৯বৃহস্পতিবার ম্যার্কেল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ সালের শেষে চ্যান্সেলর হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না তিনি৷
বার্লিনে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যার্কেল জানান, তিনি ‘‘কোথাও কোনো রাজনৈতিক দপ্তরের দায়িত্ব নেবেন না, এমনকি সেটা ইউরোপের হলেও না৷’’
তবে একই দিনে স্যুডডয়চে সাইটুং-কে দেয়া তাঁর সাক্ষাৎকার আবার উসকে দিচ্ছে এমন জল্পনা৷ পত্রিকাটিকে ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর ‘দায়িত্ববোধের’ কথা বলেছেন তিনি৷
তিনি বলেন, ‘‘আমার মতো অনেক মানুষই ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ ফলে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ইউরোপের ভাগ্য বিষয়ে চিন্তা করতে এক নতুন দায়িত্ববোধ অনুভব করছি আমি৷’’
অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে ম্যার্কেল বলেছেন সাক্ষাৎকারটি তিনি দিয়েছেন ‘জার্মান চ্যান্সেলর’ হিসেবে৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে একটি কার্যকর ইউরোপ গড়ে তোলার জন্য আমাকে আরো বেশি চেষ্টা করে যেতে হবে৷’’
এর আগে এপ্রিলে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ ইয়ুঙ্কার বলেছিলেন, ইউরোপের শীর্ষ পদের জন্য ম্যার্কেল ‘অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন’৷
২০২১ পর্যন্ত থাকতে পারবেন ম্যার্কেল?
রক্ষণশীল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন- সিডিইউ-এর প্রধানের দায়িত্ব থেকে এরই মধ্যে অব্যাহতি নিয়েছেন ম্যার্কেল৷ একই সঙ্গে ২০২১ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালনের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি৷
কিন্তু সিডিইউ, বাভারিয়া রাজ্যে দলটির সহযোগী খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির মধ্যে জোট যদি এর মধ্যে ভেঙে পড়ে, তাহলে সে সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ৷
নিজের দল থেকে অবশ্য সমর্থন পাচ্ছেন ম্যার্কেল৷ ম্যার্কেলের পর সিডিইউয়ের দায়িত্ব নেয়া আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার ভেল্ট আম সনটাগ পত্রিকাকে রোববার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি চান ম্যার্কেল ২০২১ সাল পর্যন্ত চ্যান্সেলরের দায়িত্বে থাকুন৷ তিনি বলেন, ‘‘চ্যান্সেলর ও সরকার পূর্ণ মেয়াদের জন্যই নির্বাচিত হয়েছেন৷ সে ম্যান্ডেট তাঁরা পূরণ করবেন, সে প্রত্যাশা করার অধিকার জনগণের রয়েছে৷’’
এডিকে/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)