1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের জাহাজ ভিড়তে দেবে স্পেন

১১ জুন ২০১৮

৬২৯ জন আশ্রয়প্রার্থীকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের অ্যাকুয়ারিউস নামের একটি এনজিও'র জাহাজ কোথায় ভিড়বে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল৷ শেষ পর্যন্ত স্পেন বলেছে, ভ্যালেন্সিয়ায় জাহাজটি ভিড়তে পারে৷ এর আগে ইটালি ও মাল্টা জাহাজটিকে অনুমতি দেয়নি৷

https://p.dw.com/p/2zGq1
Italien Flüchtlinge auf dem Mittelmeer
ছবি: Getty Images/AFP/A. Solaro

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের অফিস সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘‘মানবিক এই সংকটের সময় এই মানুষগুলোকে নিরাপদে ভিড়তে দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব৷’’ 

এর আগে, ইটালি ও মাল্টার কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের বেড়াজালে আটকে ছিল ফ্রেঞ্চ এনজিও জাহাজটি৷ কোথায় যাবে তার নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিল তারা৷ রোববার ইটালি এই জাহাজটিকে তাদের বন্দরে ভেড়ানোর অনুমতি দেয়নি৷ তাদের দাবি ছিল, জাহাজটি মাল্টায় ভেড়ানো হোক৷

অন্যদিকে, মাল্টা সে দাবি প্রত্যাখ্যান করে অভিযোগ করে বলেছে, জাহাজটিকে সমুদ্রে আটকে রেখে ইটালি আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করছে৷

ফ্রেঞ্চ সংস্থা এসওএস মেডিটারেনি বলেছে যে, জাহাজটিতে ৬২৯ জন আশ্রয়প্রত্যাশী আছে, যাদের ১২৩ জন অভিভাবকহীন শিশু এবং সাত জন সন্তানসম্ভবা নারী৷ এদের ৪শ' জনকে উদ্ধার করেছে ইটালির নৌবাহিনী ও বাণিজ্য জাহাজগুলো৷ এরপর তাদের অ্যাকুয়ারিউসে তুলে দেয়া হয়৷

রোববার ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বলেন, এখন থেকে ‘‘ইটালিও আশ্রয়প্রার্থীদের ‘না' বলবে''৷

ইটালির অতিডানপন্থি লীগের নেতা সালভিনি ও পরিবহণমন্ত্রী ফাইভ স্টার মুভমেন্টের নেতা দানিলো তোনিনেল্লি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘‘যখন মানুষের জীবনের সুরক্ষার বিষয় আসে, তখন আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী মাল্টা সবসময় মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারে না৷''

‘‘ভূমধ্য সাগরে এখানকার সীমানাবর্তী সব দেশের সাগর, এবং তাদের (মাল্টা) এটা ভাবা উচিত নয় যে, এই বিরাট সমস্যার (অভিবাসন) সমাধান কেবল ইটালিই করবে,'' মন্ত্রীদ্বয় বলেন৷

মাল্টা অ্যাকুয়ারিউসকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে৷ সেখানে তারা বলেছে, লিবিয়ার জলসীমা থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের তুলেছে অ্যাকুয়ারিস এবং উদ্ধার করা হয়েছে ইটালির  তত্ত্বাবধানে৷ তাই এটি মাল্টার দায় নয়৷

এমনকি ইটালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্টে মাল্টার সরকার প্রধান জোসেফ মুসকাটকে অনুরোধ করেছেন, অন্তত মানবিকতার খাতিরে জাহাজের যাত্রীদের গ্রহন করা হোক৷ কিন্তু মুসকাট তা প্রত্যাখ্যান করেন৷

গত পাঁচ বছরে লিবিয়া থেকে ছয় লাখেরও বেশি আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থী ইটালি গিয়েছেন৷ স্বেচ্ছাসেবী জাহাজগুলো এসব আশ্রয়প্রার্থীকে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা৷

আশ্রয়প্রার্থীদের এই ঢল ইউরোপের দেশগুলোতে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে উস্কে দিচ্ছে৷ সালভিনি এর আগে বলেছিলেন, ইটালি আর ‘‘ইউরোপের শরণার্থী ক্যাম্প হবে না৷''

এর আগে অন্য দেশে যাওয়ার রুট হিসেবে ইটালিকে ব্যবহার করতেন শরণার্থীরা৷ কিন্তু ডাবলিন রেগুলেশনের ফলে এখন প্রথম যে দেশে শরণার্থীরা আসেন, সে দেশেই তাঁদের আশ্রয়ের আবেদন করতে হয়৷

ইউরোপ জুড়ে শরণার্থীদের চলাচল সীমিত করতে এবং একাধিক দেশে আবেদন ঠেকাতে এই রেগুলেশনে একমত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো৷ কিন্তু এর ফলে ইটালিতে ব্যাপক হারে বেড়েছে শরণার্থীর চাপ৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান