1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্রয়প্রার্থী ও বাজেট সংকটের চাপে জার্মানি

১৬ অক্টোবর ২০২৩

জার্মানিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, কিন্তু বিপরীতে তাদের জন্য বরাদ্দ কমছে৷ দেশের বড় একটা অংশ মনে করছে, গত আট বছরে খুব বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে ফেলেছে জার্মানি, যা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন৷

https://p.dw.com/p/4XakO
আগামী ২০২৪ সালের জন্য এ খাতে ১৭০ কোটি ইউরো (১৭৯ কোটি ডলার) দিয়েছে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার
আগামী ২০২৪ সালের জন্য এ খাতে ১৭০ কোটি ইউরো (১৭৯ কোটি ডলার) দিয়েছে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারছবি: Jens Thurau/DW

জার্মানিতে চলে এলেও এখনো থাকার বৈধ অধিকার না পাওয়া মানুষদের জন্য অর্থ বরাদ্দ যে কমানো হয়েছে তা সরকারি পর্যায় থেকেও স্বীকার করা হয়েছে৷  আগামী ২০২৪ সালের জন্য এ খাতে ১৭০ কোটি ইউরো (১৭৯ কোটি ডলার) দিয়েছে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার৷ মূলত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবাসন, খাদ্য এবং একীভূতকরণের কাজে ব্যয়ের জন্য দেশের পৌর কর্তৃপক্ষগুলোকে দেয়া এ অর্থ নিয়ে ইতিমধ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন জার্মানির শহর এবং পৌরসভা সংক্রান্ত অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জার্ড লান্ডসবার্গ৷ দৈনিক হান্ডেলসব্লাটকে তিনি বলেন, বরাদ্দ করা অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত৷ তার মতে, সংকট নিরসন করতে হলে,‘‘

আরো নিয়ম-কানুন প্রণয়ন করতে হবে, (অভিবাসনপ্রত্যাশীদের) ‘সীমাবদ্ধতা' বাড়াতে হবে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধে) ন্যয্যভাবে ভাগ করে দিতে হবে এবং নগর কর্তৃপক্ষগুলোর জন্য এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে৷''

অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি

জার্মানির বিভি্ন্ন শহরে আবার অভিবাসনপ্রত্যাশীর চাপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে দেখতে রাজধানী বার্লিনে যায় ডয়চে ভেলে৷ বার্লিনের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের সচিব আজিক বোৎসকুর্ট জানান, ২০২২ সালের তুলনায় এ বছর প্রথম নয় মাসেই আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩২ ভাগ বেড়েছে৷  

র্লিনের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের সচিব আজিক বোৎসকুর্ট
র্লিনের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের সচিব আজিক বোৎসকুর্টছবি: Jens Thurau/DW

তিনি জানান, ২০২২ সালের ১২ মাসে যেখানে এসেছিল মোট নয় হাজার, এবার প্রথম নয় মাসে্ই সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৩ হাজার ছুঁয়েছে৷ বার্লিন রাজ্য শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (আইএএফ)-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান আজিজ বোৎসকুর্ট অবশ্য ২০১৫-এর মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি এখনো হয়নি বলে চলমান পরিস্থিতিকে অনেকটা মন্দের ভালো বলেই মনে করছেন৷ ওই সময়ে শুধু বার্লিনে আশ্রয় নিয়েছিল সিরিয়া এবং আফগানিস্তান থেকে আসা প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থী৷

সম্প্রতি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তারা মনে করেন, আশ্রয়প্রার্থী যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ এ প্রসঙ্গে আজিজ বোৎসকুর্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ (আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়) আমার সংস্থা যে চাপে রয়েছে তা অস্বীকার করবো না৷ পরিস্থিতি বেশ কঠিন৷''

আশ্রয়প্রার্থী বৃদ্ধিতে জনমনে উদ্বেগ

সাম্প্রতিক কয়েকটি সমীক্ষায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জার্মান নাগরিকদের একাংশ তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন৷

ফোকাস ম্যাগাজিনের জন্য চিভে জরিপ সংস্থার করা এক সমীক্ষায় ৮৯ ভাগ মানুষ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অপরাধকর্মে জড়ানো আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত দেশে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন৷ সমীক্ষায় অংশ নেয়া ৭৮ ভাগ মানুষ বলেছেন, ২০১৫ সাল থেকে খুব বেশি শরণার্থী গ্রহণ করছে জার্মানি৷

সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনার উদ্যোগ

আজিজ বোৎসকুর্ট জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো সম্ভব নয়৷ কিন্তু তিনি মনে করেন, প্রয়োজনে ২০০৯ সালে যে ঋণ গ্রহণের আইন করা হয়েছিল, তা বিবেচনায় নিয়ে হলেও বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত৷

তা কি আদৌ সম্ভব? জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সমাধানের উপায় খুঁজতে বিরোধী দলনেতা, সিডিইউ চেয়ারম্যান ফ্রিডরিশ 

ম্যার্ৎস=এর সঙ্গে কথা বলতে চান৷ আলোচনায় বসার জন্য ম্যার্ৎসকে ইতিমধ্যে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি৷

ইয়েন্স থুরাউ/ এসিবি