1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়তে পারে সেবিট মেলায়

আরাফাতুল ইসলাম২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ টেকনোলজি মেলা সেবিট এবার আর্থিক মন্দার কবলে পড়ার আশংকা রয়েছে৷ আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য এই মেলায় ইতিমধ্যে স্টল বুকিং-এর হার গতবারের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে আয়োজক ডয়চে মেসে৷

https://p.dw.com/p/GzFb
সেবিট মেলার প্রস্তুতি৷ছবি: AP

ডয়চে মেসের অন্যতম পরিচালক আরন্সট রুহ জানিয়েছেন, আগামী ৩ থেকে ৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সেবিট মেলায় অংশ নিতে ৪৩০০টি স্টল বুক করেছে বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান৷ ১৯৯০ সাল থেকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কম্পিউটার ও টেকনোলজি মেলা হিসেবে পরিচিত সেবিট৷

Deutschland Messe CeBIT 2008 in Hannover Green IT Village
১৯৯০ সাল থেকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কম্পিউটার ও টেকনোলজি মেলা হিসেবে পরিচিত সেবিট৷ছবি: picture-alliance/ dpa

তবে শুধু অর্থনৈতিক মন্দা নয়, সম্প্রতি লাস ভেগাসের কনজুমার ইলেকট্রনিক্স শো এবং বার্সিলোনার মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের কারণেও সেবিট মেলার গুরুত্ব খানিকটা কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ অনেক প্রতিষ্ঠানই ২০০৯ সালের প্রথমার্ধের ইভেন্ট তালিকায় উল্লেখিত মেলা দুটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে৷

আরন্সট রুহ জানিয়েছেন, এবার অংশ না নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় চায়না, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং হংকং এর কিছু ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ জাপানের অন্যতম বৃহৎ দুইটি প্রতিষ্ঠান- তোশিবা এবং কিওকেরাও এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে না৷ তিনি বলেন, এমনিতেই এসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা কাজ করে৷ তার উপর অর্থনৈতিক মন্দা তাদেরকে আরো বিপাকে ফেলেছে৷ কিছু প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিলুপ্তও হয়ে গেছে৷

আরন্সট রুহ অবশ্য জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও ৪৩০০টি স্টল বুকিং নেহায়েত কম নয়৷ অনেক প্রতিষ্ঠান হারিয়ে গেলেও অনিয়মিতভাবে পূর্বের মেলাগুলোতে অংশ নিয়েছে- এরকম কিছু প্রতিষ্ঠান এবার আবার ফিরে এসেছে৷ এদের মধ্যে রয়েছে ডেল, ইন্টারশপ এবং নকিয়া সিমেন্স নেটওয়ার্কস৷

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সাল থেকে জার্মানির হানোফার শহরে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেবিট মেলা৷