1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন সৌরভ

১৪ অক্টোবর ২০২২

বোর্ডের সভাপতির পদ হারাতে চলেছেন সৌরভ। পরবর্তী সভাপতি হতে চলেছেন রজার বিনি। এই অবস্থায় প্রথম মুখ খুললেন সৌরভ।

https://p.dw.com/p/4IB1B
বোর্ড সভাপতির চেয়ার ছেড়ে দিতে হচ্ছে সৌরভকে।
বোর্ড সভাপতির চেয়ার ছেড়ে দিতে হচ্ছে সৌরভকে। ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe

সৌরভ জানিয়েছেন, তিনি আরো বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। সেই লক্ষ্য কী, তা তিনি বলেননি। তিনি আইসিসি-র প্রধান হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে চলছেন কি না, তাও জানাননি। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ''আমি ভারতের হয়ে খেলেছি। তারপর প্রথমে বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হয়েছি। সেখান থেকেই বিসিসিআই সভাপতি হই।  আমি ভবিষ্যতে আরো বড় কিছু করব। কিন্তু এটাও জানিয়ে রাখি, খেলোয়াড় জীবনের ১৫ বছর আমার জীবনের সেরা সময়।''

ভারতে ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইনিংস আপাতত শেষ। তিনি চাননি, এখনই ইনিংস শেষ হোক। কিন্তু সূত্র জানাচ্ছে, পরিস্থিতির চাপ এতটাই বেশি ছিল এবং যেভাবে শেষ বোর্ড মিটিংয়ে সৌরভের সমালোচনা হয়েছে এবং যেভাবে বিজেপি নেতৃত্ব তাকে আর রাখতে চায়নি, তারপর আর কিছু করার ছিল না সৌরভের।

রজার বিনি ইতিমধ্যে বোর্ড সভাপতির পদে মনোনয়নপত্র ভরে দিয়েছেন। সবকিছু স্পষ্ট হওয়ার পর  সৌরভও সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, সবাইকেই একদিন প্রত্যাখ্যানের মুখে পড়তে হয়।

শূন্য থেকে শুরু

সৌরভ জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। সবাইকেই তাই হয়। তিনি বলেছেন, শেষটাই সকলে দেখে। আমায় এখন হয়তো নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। আর যে কোনো নতুন ভূমিকায় নামা মানে শূন্য থেকেই শুরু করা।”

সাফল্য দাবি

সৌরভ বলেছেন, "করোনাকালেও আমরা আইপিএলের আয়োজন সফলভাবে করেছি। কমনওয়েলথ গেমসে আমাদের মেয়েদের ক্রিকেট দল রুপো পেয়েছে। পুরুষরা তো  বিদেশে একের পর এক সিরিজে সাফল্য পেয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন শক্তি দেখা যাচ্ছে।”

তারপরেই সৌরভ যোগ করেছেন, সারাজীবন তো কেউ প্রশাসক থাকতে পারে না। তিনি এটাও বলেছেন, একদিনে কেউ শচিন টেন্ডুলকর বা নরেন্দ্র মোদী হতে পারে না। তাই প্রশাসক হিসাবে তিনি ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছেন। শুরুতেই সাফল্য পাওয়ার জন্য বড় লাফ মারতে যাননি।

প্রতিক্রিয়া

সৌরভ আবার বোর্ড সভাপতি না হওয়ার পর তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপি-তে যোগ না দেয়ার ফল এটা। শান্তনুর এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল কথার লড়াই শুরু হয়। 

সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছেন, তিনি খুবই শুশি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে এই প্রথমবার একজন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সভাপতির আসনে বসতে চলেছেন। বিনি দক্ষ ও তার ব্যক্তিত্ব নিয়েও কোনো কথা হবে না বলে তিনি মনে করেন।

সৌরভ সরে যেতে বাধ্য হওয়ায় খুশি বিরাট কোহলির সমর্থকরা। নেটমাধ্যমে তাদের খুশির প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে। কিছুদিন আগেই সৌরভের সঙ্গে বিরাটের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)