1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরিয়েন রবেন দু’মাসের জন্য বাদ পড়ায়, অসন্তোষ বায়ার্ন মিউনিখ দলে

৬ আগস্ট ২০১০

আগামী দুই মাস ডাচ ফুটবল তারকা আরিয়েন রবেন’কে ছাড়াই কাটবে জার্মান বুন্ডেসলিগার শীর্ষ দল বায়ার্ন মিউনিখের৷ এর পেছনে কারণটা অবশ্য কোনো দলাদলি নয়৷ নেহাতই একটা চোট৷ বাঁ উরুর পেশিতে চোট পেয়েছেন৷ সেই চোটই কাল হয়েছে তাঁর৷

https://p.dw.com/p/OdsF
চিকিৎসকদের সঙ্গে আরিয়েন রবেনছবি: AP

ফিফা বিশ্বকাপ ২০১০-এ নেদারল্যান্ডস'এর হয়ে খেলার সময়ই আমরা ২৪ বছর বয়স্ক এই ডাচ স্ট্রাইকারকে কখনও কখনও খোঁড়াতে দেখেছি৷ ডাক্তারদের মতে সে সময় রবেন'কে মাঠে নামানো উচিৎ ছিল না৷ কিন্তু, দেশের জন্য, দশের জন্য ইনজুরি নিয়েই খেলতে হয়েছে তাঁকে৷ আর সেখানেই সমস্যা৷ বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ারম্যান কার্ল-হাইন্জ রুমেনিগে বলেন, ‘‘এ ঘটনায় আমরা যে শুধু হতাশ - তাই নয়, আমরা ফিফা'র ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধও৷''

খুব স্বাভাবিকভাবেই, রবেন’এর ঐ চোটের সমস্ত চিকিৎসার ভার এখন নিতে হচ্ছে বায়ার্ন দলকেই৷ তাই রবেনের ঐ চোট নিয়ে খেলার ব্যাপারে জার্মান কর্মকর্তারা বেশ ভালোই চটে গেছেন৷ অবশ্য এরপরও, রবেন’এর চিকিৎসার যেন কোনো ত্রুটি না হয় - সে বিষয়টা সাধ্যমতো দেখছেন তারা৷ জানিয়েছেন, বায়ার্ন মিউনিখ দলের চিকিৎসক হান্স-ভিলহেল্ম ম্যুলার-ভোলফার্ট৷

Flash-Galerie WM-Stars Arjen Robben
ফিফা বিশ্বকাপ ২০১০-এ রবেন (কমলা জার্সি)ছবি: picture-alliance/dpa

তবে দলের লোক-জন যা বলুক না কেন, খোদ রবেন'এর গলায় কিন্তু শোনা গেল অন্য সুর৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বকাপ চলাকালে আমি কোনো অসুবিধাই বোধ করি নি৷ আমি মোট চারটা ম্যাচে খেলেছি৷ এবং ফাইনালেও ১২০ মিনিট মাঠে থাকতে পেরেছি৷ কোনো ব্যথাই অনুভব করিনি৷''

আর সে কারণেই বোধ হয়, ফাইনালের পর-পরই ডাক্তার না দেখিয়ে ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন ১০ নম্বর জার্সি পরা এই খেলোয়াড়৷ কিন্তু ফিরে এসে এক্স-রে রিপোর্ট দেখেই তাঁর মাথায় বাজ৷ শোনা যাচ্ছে, রবেন'এর বাঁ উরুর মাসেল-এ নাকি পাঁচ সেন্টিমিটারের একটা গর্ত হয়ে গেছে৷ হাঙ্গেরির বিপক্ষে বিশ্বকাপের ‘ওয়ার্ম-আপ' ম্যাচের সেই ইনজুরি রবেন'কে আরো ভোগাবে মনে হচ্ছে৷ ভোগাবে বায়ার্ন মিউনিখ দলকেও৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক