আর কখনো হবেনা ‘লাভ প্যারেড’
২৫ জুলাই ২০১০জার্মানির ডুইসবুর্গে গতকালকের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন আয়োজকরা৷
কেন ঘটলো এই দুর্ঘটনা? এতগুলো মানুষের জন্য কেন একটিমাত্র প্রবেশপথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল? এমন সব প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকসহ সকলের মনে৷ আর সেটাই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ডুইসবুর্গের কর্মকর্তা ও কনসার্ট আয়োজকদের৷ কিন্তু সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারেননি কেউই৷
গতকালের ঐ দুর্ঘটনা নিয়ে আজ আয়োজন করা হয়েছিল একটি সাংবাদিক সম্মেলন৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডুইসবুর্গের মেয়র, উপ-পুলিশ প্রধান, জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা সহ একজন আয়োজক৷
তবে দুর্ঘটনার কারণ জানাতে না পারলেও ডুইসবুর্গের উপ-পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ১৯ জন নিহতের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে৷ এর মধ্যে চারজন বিদেশি৷ অস্ট্রেলিয়া, ইটালি, নেদারল্যান্ডস ও চীনের একজন করে নাগরিক রয়েছেন এর মধ্যে৷ এছাড়া নিহতদের সবার বয়স ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে বলেও জানান ঐ পুলিশ কর্মকর্তা৷
আর আয়োজকদের একজন রাইনের শালের বললেন, আর কখনোই আয়োজিত হবে না লাভ প্যারেড৷ শালের বলেন, ‘‘নিহতদের পরিবারের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি বলতে চাই, আর কখনোই আমরা এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাবনা৷ অর্থাৎ লাভ প্যারেড থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই৷''
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনার তদন্ত কাজ এখন চলছে৷
ডুইসবুর্গের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা ভুল্ফগ্যাং রাবে বলেছেন, যেখানে কনসার্টটি আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ লোক যেতে পারতো৷ অথচ জার্মান গণমাধ্যমগুলো বলছে, সেখানে উপস্থিত ছিল প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ৷
কনসার্ট স্থলে পৌঁছার জন্য একটিমাত্র পথের ব্যবস্থা ছিল৷ তাও সেটা ছিল একটা টানেল৷ কেন এই পথটি টানেলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল সে ব্যাপারে এখন প্রশ্ন তুলছেন সবাই৷ তবে পুলিশ বলছে, যারা মারা গেছেন তারা কেউই টানেলের মধ্যে মারা যাননি৷ কিন্তু আনেকে কুইপারস নামের নিউজিল্যান্ডের এক তরুণী বলছেন, তিনি টানেলের মধ্যে কয়েকটি মৃতদেহ দেখতে পেয়েছেন৷
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভাঙার চারমাস আগে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় লাভ প্যারেডের৷ বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনাই ছিল এর লক্ষ্য৷ মূলত, এটি ছিল একটা রাজনৈতিক আন্দোলন – যার হাতিয়ার ছিল গান আর নাচ৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই