‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’
বাংলাদেশের ৪৪তম বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে মহাসমারোহে৷ দিনটি উপলক্ষ্যে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভীড় করেন অসংখ্য মানুষ৷ রাজনীতিবিদরা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান৷
লাল-সবুজে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ
ঢাকার অদূরে সাভারে সারাদিন ছিল লাল-সবুজের ভিড়৷ স্মৃতিসৌধে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা অধিকাংশ মানুষের হাতে ছিল ছোট বড় পতাকা৷ লাল-সবুজের ভিড়ে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় গড়ে ওঠে উৎসবের আমেজ যা কার্যত গোটা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে৷
বিজয় দিবসের সেলফি
সেলফি তোলার ক্রেজ এখন গোটা বিশ্বে৷ বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা কি সেই ট্রেন্ডের বাইরে থাকতে পারে? বিজয় দিবসে সাভারে তাই অনেককে দেখা গেছে এভাবে সেলফি তুলতে৷
ভিনদেশিদের আগমন
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে চলতি বছর ব্লগার, বিদেশিদের উপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন চার ব্লগার, দুই বিদেশি নাগরিক৷ ফলে দেশটিতে বিদেশিদের চলাফেলায় সতর্কতা জারি করে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ৷ তা সত্ত্বেও বিজয় দিবসে সাভারে হাজির হন বিদেশিরা৷ যেন বিজয় উদযাপনে নিরাপত্তা কোনো ইস্যুই নয়৷
হাজির ভবিষ্যত প্রজন্ম
এভাবেই বাবার কাঁধে করে সাভারের স্মৃতিসৌধে এসেছে ভবিষ্যত প্রজন্মের অনেক প্রতিনিধি৷ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃতি ইতিহাস দীর্ঘ সময় ধরে পরিবর্তন করা হয়েছে৷ যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সেই দল তাদের মতো করে বিজয়ের ইতিহাস প্রকাশের চেষ্টা করে৷ তবে বর্তমানে ইন্টারনেটের কারণে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস সহজে জানা যাচ্ছে৷
অনুষ্ঠান সারাদেশে
শুধু সাভার নয়, বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে সারাদেশে৷ বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির দিন৷ ঢাকার সোহরওয়ার্দি উদ্যান, যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পন করেছিল, সেখানে এক অনুষ্ঠানে সমবেত স্বরে গাওয়া হয়েছে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি৷’
৪৪তম বিজয় দিবস
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমপর্ন করে পাকিস্তানি বাহিনী৷ শেষ হয় নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ৷ বাংলাদেশ অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়৷