1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমার বাড়ি ছিল, জমি ছিল, এখন কিছুই নেই’

৩০ মে ২০২১

কথাটা এক বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার কুরিকাহুনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ মাফাউর রহমানের৷ তার মতো খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন৷

https://p.dw.com/p/3uB1m
গত বছর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় আমফান৷ ছবিটি ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সাতক্ষীরার৷ছবি: Kazi Salahuddin Razu/NurPhoto/picture-alliance

গতবছর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতে আঘাত হেনেছিল আমফান৷ এতে একশোর বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷ ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক লাখ আট হাজার কোটি টাকা৷

মাফাউর জানান, সম্পদ ও আয় মিলিয়ে তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা৷ ঘরবাড়ি, জমিজমা হারিয়ে তিনি এখন এক আত্মীয়ের জমিতে বাস করছেন৷ আর ঋণ নিয়ে ভ্যান কিনে টাকা আয়ের চেষ্টা করছেন৷

মাফাউরের মতোই পরিস্থিতি হয়েছে খুলনার হাজতখালী গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র মন্ডলের৷ আমফানে তার বাড়ি ও জমি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে৷ তাই এখন তিনি বাঁধের উপর চালাঘর তুলে পরিবার নিয়ে বাস করছেন৷ ‘‘একসময় আমার সব ছিল৷ নিজের জমিতে চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম৷ কিন্তু এখন আমার কিছু নেই,'' থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন তিনি৷

৪৫ বছর বয়সি মন্ডল জানান, ‘‘আমি পরিবার নিয়ে বাঁধের উপর থাকি৷ দিনমজুরির মাধ্যমে আমি পাঁচ সদস্যের পরিবার চালাচ্ছি৷ কিন্তু এই এলাকায় কোনো কাজ নেই৷ তিন বেলা খাবার জোগাড় করা খুব কষ্ট হয়ে উঠছে৷’’

মন্ডলের এলাকার অনেকেই বাঁধ কিংবা রাস্তার ধারে চালাঘর তুলে বাস করছেন৷ কেউ আবার সাইক্লোন সেন্টার কিংবা স্কুল ভবনে থাকছেন৷ অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে গেছেন৷ বেশিরভাগই পরিবারের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন কিংবা ফেরত দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েও ঋণ নিয়েছেন৷

সাতক্ষীরার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলছেন, সাইক্লোন আসার আগের প্রস্তুতির বিষয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে৷ এখন সময় এসেছে সাইক্লোনের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কাজ জোরদার করা৷ তিনি বলেন, ‘‘সাইক্লোনের আগে ক্ষতি ও মৃত্যু কমাতে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়৷ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য খুব কম উদ্যোগ দেখা যায়৷’’

‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজ' বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সঞ্জীব কুমার কাফলও মনে করছেন শুধু প্রস্তুতি নয়, পুনর্বাসনকাজেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে৷ এ কাজে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হবে৷

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, করোনার কারণে বাজেট কমে যাওয়া ও চলাচলে সীমাবদ্ধতার কারণে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্বাসন কাজ ব্যাহত হয়েছে৷ এর মধ্যেও যে পুনর্বাসন কাজ হয়েছে তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি৷

জেডএইচ/এফএস (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান