আবার ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা দিল্লি
২৪ অক্টোবর ২০২২রোববার রাতে, অর্থাৎ, দীপাবলির আগের রাতে দিল্লির বায়ু দূষণের গড় মাত্রা ছিল ২৫১ একিউআই। আর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৩২৭। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাস অঞ্চলে দূষণ ছিল সর্বাধিক। স্বাভাবিকের চেয়ে যা বহু গুণ বেশি। শনি এবং রোববার দিল্লির যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সমস্ত রাস্তা ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা।
বায়ুদূষণের মাত্রা মাপা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের(একিউআই) সূচকে। এই সূচক অনুযায়ী, ৫০ একিউআই শ্বাস নেওয়ার উপযুক্ত। ৫০ থেকে ১০০ হলো মোটামুটি। এর উপরে যে কোনো বাতাসই বিষবায়ু। ৩০০ থেকে ৪০০ একিউইউ অত্যন্ত বিপজ্জনক। ২০০ থেকে ৩০০ বিপজ্জনক। দিল্লির গড় বায়ু এখন বিপজ্জনক মাত্রায়। কোনো কোনো জায়গায় অতি বিপজ্জনক।
কেন এমন হয়
দিল্লির ভৌগোলিক অবস্থান বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। হঠাৎ আবহাওয়া বদলে যায় বছরের এই সময়ে। পরিবেশ অতিরিক্ত শুকনো হয়ে যায়। যার জেরে আচমকাই বাতাসে ধুলোর কণা ভেসে ওঠে। তার সঙ্গে গাড়ির ধোঁয়া, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কারখানার দূষণ এবং ফসলের খেত জ্বালানোর কারণে দূষণের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে যোগ হয় বাজি পোড়ানো।
দিল্লির পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবে এই সময় ফসলের খেতে আগুন দেওয়া হয়। পুরনো ফসলের গোড়া পুড়িয়ে সার তৈরি করে নতুন ফসল বোনা হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ দূষণ হয়। সরকারি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, এবছর খেত জ্বালানোর ঘটনা অনেক কমেছে। সব মিলিয়ে পাঁচশটি এমন ঘটনার রেকর্ড মিলেছে। তা সত্ত্বেও দূষণ রোধ করা যাচ্ছে না।
দীপাবলির আনন্দ
দিল্লিতে বাজি পোড়ানো বন্ধ। বাজি ফাটালে ছয় মাস পর্যন্ত জেলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও, দীপাবলির আগের দিন, যাকে ছোটা দীপাবলি বলা হয়-- বাজি ফেটেছে। আগের চেয়ে কম হলেও বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আর এই বাজির থেকে দিল্লির দূষণ মাত্রাছাড়া জায়গায় পৌঁছে যায়।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দূষণ যথেষ্ট হলেও অন্যবারের চেয়ে এবারের মাত্রা তুলনায় কম। দীপাবলি কাটলে বোঝা যাবে দূষণের মাত্রা দ্রুত আরো কমবে কি না।
এসজি/জিএইচ (এএনআই, পিটিআই)