বাংলাদেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত ৪
২৭ এপ্রিল ২০১৭বুধবার মেসেজিং অ্যাপস টেলিগ্রামে অসিম উমর ওই বিবৃতি দেন বলে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে৷ তবে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি৷
১৩ পৃষ্ঠার ওই ইংরেজি বক্তব্যে একিউআইএস প্রধান অসিম ওমর বলেন, ‘‘আল-কায়েদার বাংলাদেশ বিষয়ক প্রধান তারিক ওরফে সোহেল আফগানিস্তানের কান্দাহারের মরুভূমিতে প্রাণ দিয়েছেন৷ ''
তবে অসিম ওমরের বক্তব্যে কথিত বাংলাদেশি তারিক সোহেল ও তাঁর পাঁচ সহযোগী ঠিক কত তারিখে নিহত হয়েছে, সেটা উল্লেখ করা হয়নি৷ এর আগে গত মাসেও সোহেলের নিহতের খবর প্রকাশিত হয়েছিল৷
‘অপারেশন ঈগল হান্ট'
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অপারেশন ‘ঈগল হান্টে’ আবুসহ চারজন নিহত হয়েছেন৷ চারজনই আত্মঘাতী হয়েছেন৷ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জের মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহিনী শিবনগর গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ির পাশে রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খুরশিদ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান৷
এর আগে ওই বাড়ি থেকে এক নারী ও শিশুকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷ ওই নারী বাড়িটিতে থাকা জঙ্গি সংগঠন পুরোনো জেএমবির সদস্য আবুর স্ত্রী এবং শিশুটি এই দম্পতির সন্তান বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ৷ আবুর স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম৷
বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে আমবাগানে ঘেরা ওই বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করার পর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে অভিযান চালায় সোয়াট৷ কিন্তু দুই ঘণ্টা পরই অভিযান স্থগিত করা হয়৷
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ফের অভিযান শুরুর পর সোয়া ১২টায় আত্মসমর্পণের শেষ আহ্বান জানানো হয়৷
এর আগে অভিযান শুরুর সময় থেকে ঘণ্টাখানেক ধরে শোনা যায় গুলির শব্দ৷ ১০টা ৬ মিনিটে বিকট বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল৷
অভিযান শুরুর পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি আবদুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, ‘‘একতলা ওই বাড়ির ভেতরে নারী ও শিশুসহ চার জন আছে বলে আমরা ধারণা করছি৷ দিনে মাইকের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেয়নি৷''
গোমস্তাপুর সার্কেলের এএসপি মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন,একতলা ওই বাড়িতে রফিকুল আলম আবু নামের এক ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী-সন্তানসহ চারজন থাকে বলে তাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে৷
জননিরাপত্তার স্বার্থে শিবনগর ও আশপাশের এলাকায় সকালেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় জানিয়ে শিবগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে সব ধরনের জমায়েত ও চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে৷
আগের অভিযান:
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালানোর পর পুলিশ গত শুক্র ও শনিবার ঝিনাইদহের একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান চালিয়ে বিপুল বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে৷ এরপর মঙ্গলবার দিনভর রাজশাহীর একটি এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ঘিরে ‘ব্লক রেইড' চলে৷ তবে সেখানে কোনো জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায়নি পুলিশ৷
এপিবি/এসিবি