ভয়াল কালরাত
২৫ মার্চ ২০১২বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভীষিকাময় এক ভয়াল কালরাত৷ ১৯৭১ সালের এ রাতে বর্বর পাকিস্তানিরা ‘অপারেশন সার্চলাইট' নামে বাঙালি নিধন অভিযান শুরু করে৷ মুক্তিকামী নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ ঘটায় বর্বর পাকিস্তানিরা৷
মধ্যরাতের আগেই ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাঙ্কসহ ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া বহর বেরিয়ে পড়ে ঢাকার রাস্তায়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হলসহ বিভিন্ন হল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় ইপিআর সদর দফতরে হামলা চালায় হানাদাররা৷
রাজারবাগেই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সেনাবাহিনীর কাছে তারা টিকতে পারেনি৷ ওই দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আটক হন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত হাবিলদার আবদুস সামাদ৷ আজও তিনি ভুলতে পারেননি হানাদারদের সেই বর্বতার কথা৷
বাঙালির ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের খবর বিশ্ববাসীর দরবারে পৌঁছানো সহজ ছিল না৷ সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিবেকতাড়িত কিছু মানুষ বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিল৷ সাংবাদিকতা ও কুটনৈতিক তৎপরতায় জাগ্রত করেছিল বিশ্ববিবেক৷ তাদেরই একজন তৎকালীন মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কিন ব্লাড৷ তাঁর অবদানের কথা বলছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি মফিদুল হক৷
এদিকে আজ রবিবার স্বাধীনতা দিবসের পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস বারবার মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ডয়চে ভেলে, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক