1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকায় স্বাভাবিক অবস্থা চান ট্রাম্প

১৭ এপ্রিল ২০২০

দেশে ভয়াবহ করোনা সংকট সত্ত্বেও তিনটি পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ এর আওতায় কিছু রাজ্য এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3b3Ce
ছবি: Reuters/L. Millis

নির্বাচনের বছরে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়লে ক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হবে৷ এমন আশঙ্কায় করোনা সংকট সত্ত্বেও মরিয়া হয়ে দেশে ‘স্বাভাবিক' পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ অ্যামেরিকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চললেও তিনি চরম বেকারত্ব নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে সমালোচকদের ধারণা৷

করোনা সংকটে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার নতুন নীতিমালা পেশ করলেন৷ শাটডাউন শেষ হলে তিনটি পর্যায়ে এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে চান তিনি৷ অর্থাৎ, মহামারি মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ আবার শুরু করার পথে এগোচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর মতে, অর্থনীতি দ্রুত চাঙ্গা না করলে জনস্বাস্থ্যের উপরেও এর মারাত্মক কুপ্রভাব পড়বে৷ উল্লেখ্য, এরই মধ্যে অ্যামেরিকায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন৷

এর আওতায় আগামী ১৪ দিনে রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনার ডাক দিয়েছেন ট্রাম্প৷ তারপর ধাপে ধাপে ব্যবসাবাণিজ্যের উপর কড়াকড়ি শিথিল করা হবে৷ প্রথম পর্যায়ে পরস্পরের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে দশ জনের বেশি মানুষের জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে৷ অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ কমানো, হোম অফিসের মাধ্যমে কাজ বাড়ানো এবং দপ্তরে কর্মীদের সাধারণ মেলামেশার জায়গা বন্ধ রাখা হবে৷ প্রথম পর্যায়ে স্কুল বন্ধ রাখা হলেও কড়া নিয়মের পূর্বশর্তে সিনেমা, রেস্তোরাঁ, স্টেডিয়াম, উপাসনালয় ইত্যাদি খোলা হবে৷ পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে স্কুলসহ আরো কিছু স্থাপনা খোলা হবে এবং সমাবেশের নিয়ম আরো শিথিল করা হবে৷ তৃতীয় পর্যায়ে কর্মক্ষেত্রে কোনো বাধানিষেধ থাকবে না৷

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, একবারে নয়, বরং সতর্কতার সঙ্গে একটি করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ সোমবার তিনি প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যগুলিকে চালু অথবা বন্ধ রাখার হুমকি দিলেও এখন সুর নরম করে পরামর্শের পথ নিয়েছেন৷ এভাবে রাজ্যগুলির উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে নিজেকে দায়মুক্ত করারও চেষ্টা করছেন তিনি৷

নতুন এই নীতিমালার ফলে কিছু রাজ্যের জন্য বর্তমান বিধিনিয়ম কার্যত বাতিল হয়ে যাচ্ছে৷ এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত ফেডারেল ভাইরাস মিটিগেশন নিয়ম চালু রাখার কথা ছিল৷ যেসব রাজ্য সেই শর্ত পূরণ করছে, সেগুলি আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারবে৷ ট্রাম্পের মতে, ২৯টি রাজ্য আগামী শুক্রবারই সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে৷ তবে নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামো ব্যাপক হারে পরীক্ষা ও অন্যান্য পদক্ষেপ কার্যকর করতে পারবে কিনা, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়৷

বলা বাহুল্য, এমন অস্পষ্ট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন বলেন, ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার মধ্যেই দেশ পুরোপুরি চালু করার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে৷ অথচ সরকার সেই পথে না গিয়ে ভাসা ভাসা পরিকল্পনা পেশ করছে৷

তবে দলমতনির্বিশেষে বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নর তিন পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য