বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব চলছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে৷
২১ আগস্ট ২০১৩চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হচ্ছে পলাশী থেকে ধানমণ্ডি, কারিগর, জয়যাত্রা, প্রামাণ্যচিত্র-১৯৭১, আমার বন্ধু রাশেদ, গেরিলাসহ ১১টি ছবি৷ এর মধ্যে কিছু তথ্যচিত্রও রয়েছে৷
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ভানু লাল সাহা বলেন, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে সম্পর্ক ভীষণ গভীর৷ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ত্রিপুরায় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল৷ বাংলাদেশের ১৬ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল ত্রিপুরায়, যা তখনকার জনগোষ্ঠীর চেয়ে বেশি ছিল৷ সেসময় ত্রিপুরার জনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ৷
এ ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জনগণ যেমন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে, তেমনি প্রতিবেশী দেশের সাথে এটি সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক হবে জানান মন্ত্রী৷
বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে৷ রাজধানী আগরতলাসহ ত্রিপুরার চারটি শহরে দেখানো হচ্ছে ছবিগুলো৷ চলচ্চিত্রগুলোর সার্বিক দিক দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে উৎসবে উপস্থিত থাকছেন প্রদর্শিত ছবিগুলোর পরিচালকরা৷
এপিবি/ডিজি (পিটিআই)