1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আকাশ’ ছুঁতে আর বাধা নেই ভারতের

৭ অক্টোবর ২০১১

হাতে এসে গেল ‘আকাশ’৷ আকাশকে ছুঁতে আর কোনো বাধা নেই ভারতের ছাত্রছাত্রীদের৷ গভীর গ্রামেও এবার পৌঁছে যাবে আধুনিক প্রযুক্তির এই ডিজিটাল আকাশ৷ আকাশ এই পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা ট্যাবলেট কম্পিউটার৷ মাত্র ৩৫ ডলারে সে মিলবে৷

https://p.dw.com/p/12n91
শুধু আর শহরে নয়, কম্পিউটার এবার পৌঁছে যাবে ভারতের গভীর গ্রামে (ফাইল ফটো)ছবি: AP

ল্যাপটপ বললে ভুল হবে৷ জিনিসটা আসলে ট্যাবলেট৷ এবং ডিজিটাল ট্যাবলেট৷ তার পর্দায় আঙুল ছোঁয়ালে তবেই সে চলে৷ তার মানে এ হল ছুঁইমুই ট্যাবলেট কম্পিউটার৷ দাম যার বেশ কম৷ সহজেই যে কোনো ছাত্র বা ছাত্রী একে কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে পারে৷ ইন্টারনেট সংযোগ এতে সম্ভব৷ এই আকাশের আছে ২৫৬ মেগাবাইট দ্রুত কার্যকরী স্মৃতিশক্তি বা ব়্যাম৷ আছে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা৷ আর আছে, ৩২ গিগাবাইট মোট স্মৃতিশক্তি৷

ভারতে, বিশেষ করে গ্রামীণ ভারতে শিক্ষার দ্রুত প্রসারে এই আকাশকে প্রয়োজন৷ মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর আগেই ঘোষণা করেছিল, ছাত্রমহলের সুবিধার জন্য তারা এই ধরণের প্রযুক্তি বাজারে আনতে চায়৷ সস্তায়৷ আপাতত ক্যানাডার একটি সংস্থা এই আকাশ বানাচ্ছে৷ বুধবার নতুন দিল্লিতে আকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিব্বাল ট্যাবলেট আকাশ-এর উদ্বোধন করেন৷ উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৫০০ ল্যাপটপ বিক্রি করার জন্য রাখা ছিল৷ ওই ২২০০ ভারতীয় টাকা মূল্যে৷ বুধবারের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সিব্বাল স্বয়ং কিছু ল্যাপটপ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন৷ মন্ত্রী জানান, প্রতিদিন এখন ৭০০টি করে আকাশ ট্যাবলেট তৈরি করা হবে৷ বাজারের চাহিদা মেটাতেই৷

আকাশ-কে ছোঁয়া যাচ্ছে বটে, কিন্তু কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে৷ ভারত সরকারের উদ্যোগে যে আকাশ তৈরি হয়েছে, তার দাম ২২০০ টাকা রাখা হলেও ক্যানাডার যে সংস্থা অ্যান্ড্রয়েড পদ্ধতিতে এই ট্যাবলেট তৈরি করছে, তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি করতে গেলে দাম পড়ে যাবে তিন হাজার ভারতীয় টাকার কাছাকাছি৷ আরও প্রশ্ন রয়েছে, আকাশ নামের এই ট্যাবলেটটির গুণগত মান নিয়েও৷ সে মান যথেষ্ট কিনা, তা নিয়ে অনেকের মনেই ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি৷ বলা হচ্ছে, এই ট্যাবলেটে আরও কিছু জিনিসপত্র সংযোজন প্রয়োজন৷ যাতে পড়াশোনার কাজের সুবিধা হতে পারে৷ তবে, তা করতে গেলে আবার দামও তো বসে থাকবে না!

তবে বাজার কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ কারণ, আসল লক্ষ্যটা ছিল দ্রুত স্বাক্ষরতা, সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ানো৷ চীনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের এক নম্বর জনসংখ্যার দেশটিতে শতকরা ৯২ জন মানুষ স্বাক্ষর৷ আর তার ঠিক পরেই যে ভারত, যে বিশ্বের এক নম্বর গণতন্ত্র, তার স্বাক্ষরতার হার  মাত্র ৬১ শতাংশ৷ ভারতে মোবাইলের চাহিদা আর ব্যবহার বাড়ছে দ্রুতবেগে৷ কিন্তু ইন্টারনেট সহ কম্পিউটারের ব্যবহার সেভাবে বাড়ছে না৷ তার একটা কারণ হল, ইন্টারনেটের মূল্য অনেক বেশি৷ যা সকলের পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয়৷ আর দ্বিতীয় কারণ, কম্পিউটারের চড়া বাজারদর৷ আর সে কারণেই, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্যই এই আকাশ কে হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ৷

আসলে গ্রামীণ ভারতকে দ্রুত ডিজিটাল বিশ্বের মানচিত্রে তুলে নিয়ে যেতে চায় সরকার৷ ভবিষ্যতের সাফল্যের আকাশ ছুঁতে ভারতের সামগ্রিক উদ্যোগের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার এই ট্যাবলেট ‘আকাশ'৷ যার রঙিন পর্দায় আগামীর সোনালি হাতছানি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য