1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে ‘অনার কিলিং’ বন্ধ হচ্ছে না

বিনিশ জাভেদ এআই
২৪ অক্টোবর ২০১৬

পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ২০১৫ সালে পাকিস্তানে কমপক্ষে ১,১০০ নারীকে হত্যা করা হয়েছে৷ ‘অনার কিলিং’ হিসেবে পরিচিত এই ধরণের হত্যাকাণ্ড থামাতে আইন থাকলেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/2RZ7d
Pakistan Protest Steinigung einer schwangeren Frau
ছবি: Reuters

গত জুন মাসে লাহোরের এক মা তাঁর ১৮ বছরের মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলেন৷ মেয়ের অপরাধ, সে পরিবারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেছে৷

তারও আগে পাঞ্জাব প্রদেশে ১৯ বছরের এক স্কুল শিক্ষিকাকে তাঁর চেয়ে দ্বিগুণ বয়সের একজন মানুষকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পুড়িয়ে মারা হয়৷

বেসরকারি সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস কমিশন অফ পাকিস্তান'- এর হিসেবে, গত বছর প্রায় ১,১০০ নারী অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন

সে দেশের মানবাধিকার কর্মী তাহিরা আব্দুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ইদানিং এই ধরণের হত্যাকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে বেশি আসায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তবে পাকিস্তানি সমাজে রাজনীতি ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে মডারেটদের তুলনায় ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ভূমিকা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না৷

অনার কিলিং বন্ধে ২০০৪ সালে যে আইন হয়েছে, তা আরও শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছেন আব্দুল্লাহ৷ তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে এ ধরণের হত্যাকাণ্ডগুলোর অধিকাংশই আদালত পর্যন্ত যায় না৷ ফলে অপরাধ করেও পার পাওয়া যায় এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে৷''

এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই ভুক্তভোগীর দায়িত্ব নিতে হবে এবং অপরাধীদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান আব্দুল্লাহ৷ গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘অনার কিলিং বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় তারা অনিচ্ছাকৃতভাবে অপরাধীকেই নায়ক বানিয়ে দিচ্ছে৷''

সমাজকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সমর মিনুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, শুধু আইন করে এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না৷ ‘‘যতদিন না মানুষের মধ্যে নারীর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব আসবে, ততদিন পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে,'' বলেন তিনি৷

অনার কিলিং বন্ধে ভূমিকা না নেয়ায় ধর্মীয় নেতাদের সমালোচনা করেন মিনুল্লাহ৷ সে দেশের শীর্ষস্থানীয় ধর্ম বিষয়ক নীতি নির্ধারণী সংস্থা ‘কাউন্সিল অফ ইসলামিক ইডিওলজি' (সিআইআই)-র  দেয়া সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা (সিআইআই) প্রয়োজন হলে স্বামী স্ত্রীকে ‘অল্প প্রহার' করতে পারবে, এমন বিষয় নিয়ে কথা বললেও, কখনো নারী নির্যাতনের সমালোচনা করেন না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য