1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএমএফ ও ইউরোপের মতপার্থক্য

৯ জুলাই ২০১৩

ইউরো এলাকার সংকটের মোকাবিলায় এ মুহূর্তে যে তিনটি প্রতিষ্ঠান সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, তাদের মধ্যে ঐক্যের বেশ কিছুটা অভাব দেখা যাচ্ছে৷ এদিকে গ্রিস তার বেলআউট-এর বকেয়া কিস্তির অর্থ পেতে চলেছে খুব শীঘ্রই৷

https://p.dw.com/p/194WF
ছবি: picture-alliance/dpa

গ্রিস সব শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও বেলআউট-এর পরবর্তী কিস্তির ৬৮০ কোটি ইউরো পেতে চলেছে৷ তবে চাপ বজায় রাখতে ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা কয়েকটি ভাগে সেই অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ গ্রিস বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার চালালেও বিশেষ করে সরকারি ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই ও রদবদলের শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে পারে নি৷ ইউরোগ্রুপের প্রধান ইয়েরুন ডাইসেলব্লুম বলেন, ২০১৪ সালে পর্যন্ত গ্রিস-কে বেলআউট দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না৷ উল্লেখ্য, আগামী বছরই গ্রিস সামান্য মাত্রায় হলেও আবার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে যাবে বলে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷ 

গ্রিসের ক্ষেত্রে ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হলেও সহায়তার গোটা কাঠামো নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে৷ আসলে ইইউ, ইসিবি ও আইএমএফ – এই ‘ত্রোইকা' বা ত্রিমূর্তি সংকটের শুরু থেকেই একযোগে কাজ করে এসেছে, সংকটগ্রস্ত দেশগুলির জন্য আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে৷ সম্প্রতি ইইউ ও আইএমএফ-এর মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে৷ আইএমএফ-এর প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ মনে করেন, প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও চরম বেকারত্বের মোকাবিলা করতে ইউরোপীয় কমিশন যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ যদিও সংকট সত্ত্বেও গত বছর ইউরো এলাকায় অগ্রগতির প্রশংসা করেছে আইএমএফ৷ তবে সংকটের সার্বিক সমাধানের জন্য ব্যাংকিং ইউনিয়ন দ্রুত কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ৷ এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু আর্থিক নীতি যথেষ্ট না হলেও ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে মজবুত করে তুলতে এর প্রয়োজন রয়েছে৷ ব্যাংক আবার যথেষ্ট ঋণ দেওয়া শুরু করলে তবেই অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব৷ অন্যদিকে তাদের মতে, ইউরো এলাকায় শ্রম বাজারে আরও সংস্কার করলে তবেই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হবে৷

Christine Lagarde IWF Korruptionsvorwürfe
আইএমএফ-এর প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দছবি: Reuters

‘ত্রোইকা'-র তৃতীয় অংশীদার – অর্থাৎ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মারিও দ্রাগি-ও দ্রুত ব্যাংকিং ইউনিয়নের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ তবে সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে কোনো বড় সিদ্ধান্তের আশা কম৷ জার্মানির বর্তমান সরকার দুটি ধাপে ব্যাংকিং ইউনিয়ন গড়ে তোলার পক্ষে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন চুক্তির মধ্যে কোনো পরিবর্তন না করে এমন কেন্দ্রীয় এক কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ৷

এদিকে মে মাসে জার্মানির রপ্তানির মাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ায় বাজারে হতাশা ছিল৷ তবে গ্রিস তার বকেয়া কিস্তির সহায়তা পাচ্ছে, এই খবরে পুঁজিবাজার আবার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে৷ সহায়তা না পেলে আগস্ট মাসেই গ্রিস দেউলিয়া হয়ে যেত৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য