1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘২০২১ ছিল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বছর’

২৯ মার্চ ২০২২

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ২০২১ সালে নতুন করে কিছু সংঘাত শুরু হয়েছে, আর অমীমাংসিত সংঘাতগুলো আরো গভীর হয়েছে৷ গতবছর বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি৷

https://p.dw.com/p/49A18
Amnesty International Protest Symbolbild
ছবি: Alain Pitton/NurPhoto/picture alliance

‘দ্য স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস হিউম্যান রাইটস' শিরোনামের প্রতিবেদন বলছে, ‘‘আফগানিস্তান, বুর্কিনা ফাসো, ইথিওপিয়া, ইসরায়েল/ফিলিস্তিন, লিবিয়া, মিয়ানমার ও ইয়েমেনে সংঘাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইন অনেকখানি লঙ্ঘিত হয়েছে৷''

মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক ঘটনায়ও শাস্তি দেয়া থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিরত থেকেছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷ ‘‘খুব অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এসেছে, খুব অল্প ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা ছিল৷ এর পরিবর্তে সংঘাত বেড়েছে,'' বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷

অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিভাগের গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক ফিলিপ লুথ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘২০২১ সালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার করা হয়েছিল... কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত৷''

তিনি বলেন, গতবছর আশা ছিল পুরো বিশ্ব একসঙ্গে সমানভাবে মহামারি থেকে বেরিয়ে আসবে৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, ধনী দেশগুলো টিকা তৈরি ও বিতরণে বাধা তৈরি করেছে৷

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন বলছে, আফ্রিকার ১২০ কোটি অধিবাসীর আট শতাংশেরও কম মানুষ করোনার সব টিকা পেয়েছেন - যা বিশ্বের সব অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম৷

অ্যামনেস্টি বলছে, বিরোধী ও সুশীল সমাজকে দমাতে অনেক দেশের সরকার মহামারিকে কাজে লাগিয়েছে৷ ‘‘কয়েকটি দেশের সরকার বাকস্বাধীনতা সীমিত করতে মহামারিকে ব্যবহার করেছে,'' বলে জানান ফিলিপ লুথ৷

অ্যামনেস্টিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, সুশীল সমাজের কাজেও প্রভাব ফেলেছে মহামারি৷ ‘‘বিভিন্ন কৌশলের কারণে অনেক অঞ্চলে সুশীল সমাজের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে উঠেছে,'' বলে ডয়চে ভেলেকে জানান দাতা সংস্থা ‘ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের' মানবাধিকার ও শান্তি বিভাগের প্রধান জিলকে ফাইফার৷

সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর অনেক কাজ এখন অনলাইনে হচ্ছে৷ তাই সরকারগুলো এখন অনলাইন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে৷ অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে৷ যেমন ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা, মস্কোতে বিক্ষোভে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সাংবাদিক, বিরোধী ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার৷

২০২১ সালে রাশিয়া, ভারত, কলম্বিয়া, সুদান, লেবানন ছাড়াও অন্তত ৭৫টি দেশের মানুষ নিজের ও অন্যের অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমেছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷

লিসা হ্যানেল/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য