1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর সহায়তা চাইলেন পোরোশেংকো

২৯ নভেম্বর ২০১৮

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমান সংকট মেটাতে জার্মানির আরো সক্রিয় ভূমিকা দেখতে চান ইউক্রেন ও অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট৷ পুটিন ইউক্রেনের উপর গোটা সংকটের দায় চাপিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/396QP
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকো এবার সরাসরি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে আজভ সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ডাক দিলেন৷ জার্মানির জনপ্রিয় দৈনিক ‘বিল্ড'-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ হিসেবে বিশেষ করে জার্মানির আরো সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ বর্তমান সংকটের জন্য পোরোশেংকো সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে দায়ী করেছেন৷ তাঁর মতে, পুটিন নিজেকে ‘রাশিয়ার সম্রাট' হিসেবে গণ্য করেন এবং তাঁর কাছে ইউক্রেন এক উপনিবেশমাত্র৷ একমাত্র পশ্চিমা জগত ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নিলেই পুটিনের টনক নড়বে, বলেন পোরোশেংকো৷ তিনি মস্কোর উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চালানোর ডাক দিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনের উপর নতুন করে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ গোটা দেশ দখল করাই তাদের লক্ষ্য৷

মার্কিন প্রশাসনও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমান সংকটের ক্ষেত্রে জার্মানির বিশেষ ভূমিকা দেখতে চায়৷ নিউ ইয়র্ক পোস্ট সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের নেতাদের সক্রিয় ভূমিকার ডাক দিয়েছেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘অ্যাঞ্জেলা, লেটস গেট ইনভলভড অ্যাঞ্জেলা৷'' ট্রাম্প রাশিয়ার হাতে ৩টি ইউক্রেনীয় জাহাজ আটকের ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷

জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সোমবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকোর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন৷ ইউক্রেন চাইলেও রাশিয়া কোনো রকম মধ্যস্থতায় প্রস্তুত নয়৷ দ্বিপাক্ষিক স্তরেই তারা সংকট মেটাতে চায় বলে জানিয়েছে৷ প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও জার্মানি ‘নর্ড স্ট্রিম ২' গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধ করতে প্রস্তুত নয়৷ জার্মান সরকার রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির এই বেসরকারি উদ্যোগে হস্তক্ষেপ করতে চায় না৷ ম্যার্কেল অবশ্য সম্প্রতি এই প্রকল্পের ‘রাজনৈতিক মাত্রা'-র বিষয়টি স্বীকার করেন৷

বুধবার পুটিন এই প্রথম সপ্তাহান্তের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন৷ মস্কোয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই প্ররোচনা চালিয়েছে৷ রুশ জলসীমায় প্রবেশ করার পর জাহাজগুলিকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা থামতে চায়নি৷ সেই অবস্থায় রুশ বাহিনী নিজস্ব দায়িত্ব পালন করেছে, বলেন পুটিন৷

রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞার ডাক সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনই কোনো পদক্ষেপ নেবে, এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ রাশিয়া ইউক্রেনের জাহাজ দখল করার ৩ দিন পর ইইউ অবশেষে এই পদক্ষেপের নিন্দা করে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্স আপাতত উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগের উপর জোর দেওয়ায় আপাতত মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না৷ গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে আরো স্পষ্ট চিত্র পাওয়ার পর ইইউ পরবর্তী নেবার কথা ভাববে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য