1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-চীন কন্টর্কিত ইস্যু

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের ফলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা যথেষ্ট বেড়েছে৷ কিন্তু যে তিনটি ইস্যু ভারতের দুশ্চিন্তার মূল কারণ, তার কোনো আশু সমাধানসূত্র উঠে আসেনি৷

https://p.dw.com/p/1DFF5
Indien Staatspräsident von China Xi Jinping in Neu-Dheli 18.09.2014
ছবি: Reuters/A. Masood

চীনের মনোভাব বোঝা ঈশ্বরেরও অসাধ্য৷ ভারত সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মন রক্ষায় মোদী সরকার কোনো খামতি রাখেনি৷ তা সত্ত্বেও এই সফরে যে তিনটি ইস্যু দীর্ঘদিন ভারতের গলার কাঁটা হয়ে আছে, তার সমাধানসূত্র পাওয়া গেল না৷ উল্টে গুজরাটের আমেদাবাদে এবং দিল্লিতে মোদী-শি জিনপিং-এর মধ্যে যখন গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠক চলছে, ঠিক সেই সময়ে লাদাখে অনুপ্রবেশ ঘটেছে চীনা সেনার৷

নতুন দিল্লিতে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ চীনা মানসিকতায় এই দ্বিচারিতার স্বাদ অবশ্য ভারত আগেও পেয়েছে৷ প্রথম, প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই' জমানায়৷ তাই লাদাখে চীনা সেনার অনুপ্রবেশ এই বার্তাই দিল যে, সীমান্ত বিরোধ দু'দেশের মধ্যে এখনও একটি অসমাপ্ত অ্যাজেন্ডা৷ এটা সহজে মেটার নয়৷ মেটাতে হলে চীনের দেয়া সমাধানে রাজি হতে হবে ভারতকে৷ কারণ চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের সমাধান করতে পারে একমাত্র চীনই৷ তাছাড়া ভারত তার কূটনৈতিক কৌশলে চীনের ওপর যত বেশি চাপ বাড়াবে, চীনের অবস্থান হবে ততই কড়া৷

Chinas Präsident Xi Jinping in Indien Premierminister Narenda Modi
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংছবি: Reuters/Amit Dave

নতুন দিল্লি যদি মনে করে যে তারা জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামকে সঙ্গে নিয়ে কাজ হাসিল করবে, তাহলে ভুল করবে – এমনটাই মনে করছেন দিল্লির কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ চীনের বিদেশ নীতির মূল কথা হলে, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ তথা সার্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা চলুক তার নিজের পথে৷

উল্লেখ্য, চীন-জাপানের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ ছুঁয়েছে ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার৷ কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে জাপানকে ল্যাজে খেলাচ্ছে চীন৷ ব্যবসা-বাণিজ্য রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির রক্ষাকবচ হতে পারে না৷ ভারতকেও তাই মনে করিয়ে দিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে বিতর্কিত রাজনৈতিক ইস্যুগুলি গুলিয়ে ফেললে চলবে না, যার মধ্যে আছে সীমান্ত বিরোধ ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য স্টেপল ভিসা এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চীনের স্থাপনা৷

এরপরও ভারত ও চীনের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত হয় ১২টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি৷ তার মধ্যে আছে ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণ, রেল স্টেশনগুলির উন্নতিসাধন ও দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন চালানো, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কৈলাশ মানস সরোবর তীর্থ যাত্রার নতুন রুট চালু করা, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে চীনের শিল্প তালুক গড়ে তোলা ইত্যাদি৷

এছাড়া আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ২০০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীন৷ বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান ভারতের কাম্য৷ দিল্লি চায় ৩৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্তে শান্ত থাকলে দু'দেশের সুসম্পর্ক হবে মসৃণ৷ বর্তমানে ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যে চীনের দিকে পাল্লা ভারি৷ তাই একটা ভারসাম্য থাকা জরুরি৷ চীনের প্রেসিডেন্ট নাকি আশ্বাস দিয়েছেন, এটা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে শীঘ্রই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য