ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলা
১৪ জুন ২০১৬তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা ঘটে চলেছে৷ প্রথমে অরল্যান্ডো, তারপর প্যারিসের উপকণ্ঠে হামলা ঘটলো৷ দু'টি ক্ষেত্রেই একজন করে আততায়ী, দু'জনেই আইসিস-এর দোহাই দিয়ে হিংসার আশ্রয় নিয়েছে৷
প্যারিসের উপকণ্ঠে মানিয়ঁভিল শহরে লারোসি আবালা নামের ২৫ বছরের এক আততায়ী প্রথমে এক পুলিশ কমান্ডারকে তাঁর বাড়ির সামনে বেশ কয়েকবার ছুরি চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে৷ তারপর বাড়ির ভেতর ঢুকে তাঁর সঙ্গিনী ও তাঁদের ৩ বছরের ছেলেকে জিম্মি করে৷ সঙ্গিনীও পুলিশ বিভাগেই চাকরি করতেন৷ তাঁকেও পরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ ছেলেটি বেঁচে যায়৷ পুলিশ আততায়ীর সঙ্গে একটা বোঝাপড়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়৷
ফ্রান্সের সরকার এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছে৷ প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এই ‘কাপুরোষিত' হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, ইউরোপীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা চলাকালীন সন্ত্রাসী হুমকির মুখে রয়েছে৷
এই সন্ত্রাসী হামলার বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া চলছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে৷
অরল্যান্ডো ও প্যারিস হামলার পর প্রশ্ন উঠছে, আইসিস কি সত্যি এ সব হামলার সঙ্গে জড়িত? অরল্যোন্ডো হামলার আততায়ীকে আইএস নিজস্ব ‘সৈন্য' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ তারা সরাসরি এমন ‘স্বতঃপ্রণোদিত হামলা' চালানোর উৎসাহ দিয়ে থাকে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)