অবশেষে সুর নরম করলেন ট্রাম্প
১ মার্চ ২০১৭প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে আসার পরেও নির্বাচনি প্রচারের উগ্র ভাষা ছাড়েননি ট্রাম্প৷ তড়িঘড়ি করে সব নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালনের একক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন৷ গণতান্ত্রিক কাঠামোয় ক্ষমতার অন্য স্তম্ভগুলির প্রতিও অবজ্ঞা দেখিয়েছেন৷ সংবাদমাধ্যমে কোনো সমালোচনা সহ্য করতেও প্রস্তুত নন তিনি৷ টুইটারের মাধ্যমে সরাসরি বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷ অবশেষে কংগ্রেসের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণে তাঁর সুর কিছুটা নরম হলো৷ সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে নিজের লক্ষ্য পূরণ করার পথে এক ধাপ এগোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
আরও কর্মসংস্থান, অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন ট্রাম্প৷ অভিবাসন সংক্রান্ত বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ফলে চাপের মুখে পড়ে তিনি গোটা ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের উপর জোর দিতে চান৷ ক্যানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের আদলে মেধার ভিত্তিতে অভিবাসীদের অ্যামেরিকায় প্রবেশের সুযোগ দিতে চান তিনি৷ সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পদক্ষেপ কার্যকর করতে চান ট্রাম্প৷
সম্প্রতি অ্যামেরিকায় বিদেশিদের উপর হামলা ও ইহুদি-বিদ্বেষের যে সব ঘটনা ঘটেছে, অবশেষে তার তীব্র নিন্দা করেছেন ট্রাম্প৷ দেশের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷
‘সবার আগে অ্যামেরিকা' – এই বুলি সম্বল করে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জোটসঙ্গীদের প্রতি তাঁর প্রশাসনের দায়িত্ব থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন৷ তবে ন্যাটোর মতো জোটে সহযোগীদের আরও সক্রিয় ভূমিকার দাবি থেকে সরে আসেন তিনি তিনি৷ মঙ্গলবার তাঁর ভাষণে তিনি বলেন, শত্রু-মিত্র সব দেশই আরও শক্তিশালী অ্যামেরিকা দেখতে পাবে৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেটকে নির্মূল করার অঙ্গীকারেরও পুনরাবৃত্তি করেন তিনি৷
ভাষণের পর ট্রাম্প বাস্তবে কতটা সহযোগিতার মাধ্যমে এগোবেন, তার ভিত্তিতেই তাঁর মূল্যায়ন করবেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ অন্যথায় সংসদের সঙ্গে প্রশাসনের সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি/ডিপিএ)