1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবরোধ তুলে না নিলে চুক্তি স্বাক্ষর করবে না ইরান

৯ এপ্রিল ২০১৫

প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেন, অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে না নিলে তাঁর দেশ পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না৷ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের খসড়া চুক্তি স্বাক্ষরের এক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের পক্ষে এ কথা বললেন৷

https://p.dw.com/p/1F5E9
UN Generalversammlung Rohani
ছবি: Reuters/Adrees Latif

বুধবার আণবিক প্রযুক্তি দিবস পালন করেছে ইরান৷ আণবিক গবেষণার ক্ষেত্রে দেশের সব অর্জন উদযাপনের দিনে প্রেসিডেন্ট রোহানি বলেন, ‘‘চুক্তি কার্যকর শুরুর প্রথম দিনেই সব অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে না নিলে আমরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবো না৷''

গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের লোসানে টানা আট দিনের আলোচনা শেষে ছয় বিশ্বশক্তি, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খসড়া চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান৷ চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা ধীরে ধীরে কমাবে৷ খসড়া চুক্তিতে বলা হয়, ইরান তার পারমাণবিক ক্ষমতা দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনবে৷ পরমাণু গবেষণাও ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে৷ চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)৷ চুক্তি অনুযায়ী কাজ হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র পর্যায়ক্রমে ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে- এ কথাও বলা হয়েছে চুক্তিতে ৷ ৩০ জুনের মধ্যে দু পক্ষের মূল চুক্তিতেও স্বাক্ষর করার কথা৷

কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই চুক্তির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরান৷ রোহানি সরকারের ওপর দেশের জনগণের প্রত্যাশার চাপ এর একটা কারণ হতে পারে৷ খসড়া চুক্তি স্বাক্ষরের পর উল্লাসে মেতে ওঠে ইরান৷ ইরানের সর্বস্তরের মানুষ মনে করছে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং দেশের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা সরে যাবে, যার অর্থ, আবার মুক্ত হবে ইরান৷ ইরানের মানুষ অনেক বছর ধরে এমন একটি দিনের অপেক্ষায়৷

শুক্রবার খসড়া চুক্তি স্বাক্ষরের আনন্দে উদ্বেল মিনা দেরাখশান্দে বলছিলেন, ‘‘অবশেষে সব শেষ হলো৷ (ইরানের) নির্বাসনপর্ব শেষ৷ অর্থনৈতিক দুরবস্থা এখন কেটে যাবে৷ রোহানি কথা রেখেছেন৷'' বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিনা সঙ্গে এ-ও বলেছেন, ‘‘(চুক্তি নিয়ে) আলোচনাটা ব্যর্থ হলে আমাদের, অর্থাৎ ইরানের মানুষদের সর্বনাশ হয়ে যাবে৷ এমন কথা আমি ভাবতেই পারিনা৷''

ইরানের অধিকাংশ মানুষের মনের কথাই বলেছেন মিনা৷ আণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আশ্বাস দিয়েই ক্ষমতায় এসেছেন হাসান রোহানি৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চুক্তি না হলে এবং সে কারণে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার না হলে ইরানের অভ্যন্তরীণ সংকট ব্যাপক রূপ নেবে৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ করিম সাদজাদপুর মনে করেন, ‘‘চুক্তি ফলপ্রসূ না হলে বেশিরভাগ অ্যামেরিকান এ নিয়ে হয়তো মাথাই ঘামাবেনা, কিন্তু ইরানিদের খুব খারাপ অবস্থা হবে৷'' জনগণের প্রত্যাশার এমন চাপের কারণেই হয়তো চুক্তি চুক্তি কার্যকর শুরুর দিনেই অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে না নিলে চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার হুমকি দিয়েছেন হাসান রোহানি৷

এসিবি/এসবি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য