বিজয় দিবসে বিএনপির মধ্যে মতভেদ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫বিজয় দিবসের দুপুরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম৷ দেশের মানুষ ফিরে পেয়েছিল তাদের অধিকার৷ কিন্তু, সেই গণতন্ত্র ও অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত৷ তাই জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিএনপি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের আন্দোলন করছে৷ কিন্তু এখন তাদের ওপর নির্যাতন চলছে৷ কিন্তু ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এই অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটাবে, সত্যিকারের বিজয় অর্জন হবে৷''
ওদিকে এই আন্দোলন নিয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে রাজপথে আন্দোলন কঠিন৷ স্বেচ্ছাচার বা অত্যাচারী সরকারের সময়ে রাজপথে আন্দোলন করা যায় না৷ নেতা-কর্মীরা অতীতে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল জুলুম এবং হয়রানির শিাকার হয়েছেন৷ অনেক নেতা-কর্মী এখনও কারাগারে আছেন৷''
তাঁর কথায়, ‘‘ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব যে আন্দোলনের কথা বলেছেন, তা হলো গণতান্ত্রিক আন্দোলন৷ নির্বাচনকেও আমরা আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি৷ বিএনপি চাইলে রাজপথে আন্দোলন করতে পারে৷ সে শক্তি তার আছে৷ কিন্তু বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী৷''
আহমেদ আজম খান বলেন, ‘‘আমরা পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি আন্দোলনের অংশ হিসবে৷ আমরা জানি বিএনপির প্রার্থীদের জিততে দেয়া হবে না৷ এরমধ্যেই তাদের হয়রানি করা হচ্ছে৷ আমরা দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই যে, এই সরকার কীভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে৷''
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি বার বার সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বললেও, এখনও তারা তা করতে পারেনি৷
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর না আহমেদ আজম খান – আপনি কার বক্তব্য সমর্থন করেন? জানিয়ে দিন মন্তব্যের ঘরে৷