''অতিউৎসাহীদের জন্য সরকারকে জড়িয়ে যেতে হয়''
৩১ মার্চ ২০২৩‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল 'ডিজিটাল আইনে বন্দি মতপ্রকাশ'৷ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া৷
স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের যে ছবিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি ১৭ মিনিটের মাথায় ব্যাখ্যা দিয়ে সংশোধন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ নিয়ে এজাহার ও মামলা কেন হলো? এ প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘এটা ক্যালাসনেস, অথবা প্রফেশনাল ইনকমপিটেন্সি, অথবা ট্রেনিংয়ের অভাবের জন্য এগুলো হয়৷ আগা-পাছা দেখে তো একটা কাজ করা উচিত৷''
তিনি বলেন, ‘‘এই অফিস (পুলিশ কার্যালয়) বলে না কেবল, সব জায়গাতেই দেখা যায় এমন দায়সারা কাজ৷ এজন্য একটা বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয়৷ অনেকে অতিউৎসাহী থাকে, যার জন্য অনেক সময় সরকারকেও অনেক কিছুতে জড়িয়ে যেতে হয়৷''
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘‘যেহেতু আইনটা অনেক কঠোর এবং এটাতে অ্যাট লিস্ট হয়রানি করা যায় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, জামিন না দিয়ে জেলের মধ্যে আটকে রাখা যায়৷ উদ্দেশ্যটা এখানেই৷''
তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার বললে এটা মনে হয় যে আসলে এর একটি ভালো ব্যবহারও রয়েছে৷ কিন্তু আমি এত দিনেও এর কোনো ভালো ব্যবহার পাইনি৷ বরং যা হচ্ছে, সেটা অপব্যবহার নয়, এটাক পারফেক্ট ব্যবহারই হচ্ছে, এর ক্যারেক্টারটাই এরকম।''
এডিকে/এফএস