১০০০ কেজি ওজনের কুমড়ার তৈরি নৌকা বাইচ
কুমড়ার ফলন এত বেশি যে খেয়ে কুলানো যাচ্ছিল না৷ প্রচুর অপচয় হচ্ছিল৷ অপচয় রোধের দারুণ এক উপায় বের করেছে বেলজিয়ামের মানুষ৷ কুমড়াই হয়ে গেছে নৌকা আর সেই নৌকায় চলছে অভিনব এক প্রতিযোগিতা৷ দেখুন ছবিঘরে...
কুমড়া তো নয় যেন পাহাড়!
বেলজিয়ামের কুমড়া ‘স্বাভাবিক’ আকারের কুমড়া নয়৷ একেকটির ওজন ৪০০ থেকে ১০০০ কেজি!এত বড় কুমড়ার আবার ফলনও বেশি৷ওপরের ছবিতে দেখুন কেটে অনেক ছোট করে মোটামুটি নৌকার আকৃতিতে আনা কুমড়াটিও কত বড়!
যেভাবে শুরু কুমড়া-নৌকা বাইচ
বেলজিয়ামের মানুষ কুমড়ার স্যুপ খুব পছন্দ করেন৷ কিন্তু স্যুপ আর কত খাওয়া যায়? প্রতিদিন তো স্যুপ খাওয়াও যায় না৷ তাই বেলজিয়ামের কাস্তেরলি অঞ্চলের মানুষ ২০০৮ সালে খুব চিন্তা-ভাবনা করে ঠিক করলেন কুমড়াগুলো অন্যভাবে কাজে লাগাতে হবে৷ ব্যস, শুরু হয়ে গেল পুকুরে কুমড়োর তৈরি নৌকা চালানোর প্রতিযোগিতা৷
প্রতিযোগিতায় করোনার বাধা
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল৷ কিন্তু দীর্ঘ এই বিরতিতে প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি৷ কাস্তেরলির কুমরা সোসাইটির চেয়ারম্যান পাউল বুনেন জানালেন, এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ৬৫টি দল৷ প্রতিটি দল সর্বোচ্চ চারজনের৷
বহুরূপী মাঝি
প্রতি বছর কুমড়ার নৌকা বাইচ হয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবারে৷ সবার কাছে এ প্রতিযোগিতা নির্মল আনন্দ উপভোগের চমৎকার এক উপলক্ষ৷ প্রতিযোগীরা আসেন নানা সাজে সেজে৷ কেউ সাজেন জলদস্যু, কেউ হাঙর, ডায়নোসর বা আলু-পটল-টমেটো৷
সাগরে নৌকা চালানোর চেয়েও কঠিন
স্বাভাবিক নৌকা তো প্রবল স্রোতের বিপরীতেও বৈঠা বেয়ে বেয়ে চালিয়ে যাওয়া যায়৷ সাগরেও তো কত নৌকা চলে৷ কিন্তু কুমড়ার নৌকা পুকুরে চালানোও কঠিন৷ কারণ, এমন নৌকা সামনে যেতে চায় না, সুযোগ দিলেই চড়কির মতো ঘুরে উল্টে যেতে চায়৷ প্রতিযোগিতার সময় কতজন যে পুকুরের জলে হাবুডুবু খান তার ইয়ত্তা নেই৷