হস্তশিল্প মেলা
শহর কলকাতায় শীত মানেই মেলার মরশুম৷ যার শুরু হয় হস্তশিল্প মেলা দিয়ে৷ সারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নানা ধরন এবং আঙ্গিকের হস্তশিল্পের পশরা নিয়ে আসেন শিল্পীরা৷ এক চত্বরে ধরা পড়ে বাংলার সাংস্কৃতিক বিভিন্নতা এবং উৎকর্ষের চেহারা৷
বাঁকুড়ার ঘোড়া
বাংলার হস্ত শিল্প মানেই বাঁকুড়ার পোড়ামাটির ঘোড়া, হাতি, মনসার পট৷ আজকাল আধুনিক শিল্পভাবনাও দেখা যায় এই সৃষ্টিতে৷
কারুশিল্প
প্রথম দর্শনে আফ্রিকা মহাদেশের কাঠখোদাই শিল্পের বিভ্রম তৈরি হতে পারে, কিন্তু এই দারুশিল্পও আদতে বাংলারই আরেক শিল্পরীতির নমুনা৷
ঘরোয়া টেরাকোটা
শুধু ঘর সাজানোর সামগ্রী নয়, টেরাকোটা শিল্পীরা এখন তৈরি করছেন গেরস্থালির নানা সরঞ্জাম৷ চায়ের কাপ-প্লেট, মোমবাতিদান, গয়নার কৌটো৷
নবীন উৎসাহ
যাঁরা ভাবেন হস্তশিল্পে আধুনিক প্রজন্মের উৎসাহ নেই, তাঁরা ভুল ভাবেন৷ হস্তশিল্প মেলার ক্রেতাদের এক বড় অংশ কিন্তু নবীন প্রজন্ম৷
মাদুর, আসন
হস্তশিল্প মেলার পশরার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে হাতে বোনা মাদুর, নকশা করা কাপড়ের আসন, যা নিত্য ব্যবহারের কাজে লাগে৷
সূক্ষ্ম সূচিশিল্প
হাতে বোনা কার্পেটের আসন ছাড়াও এখন ক্রেতাদের আকর্ষণ করে দেওয়াল চিত্র, যা অনুপম সূচিশিল্পের সেরা নমুনা৷ এসবের বিক্রি বেশ ওপরের দিকে৷
নকল ফুল
নকল হলেও প্রকৃতির সমস্ত রঙ, রূপ আর উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে এই ফুলের সম্ভারে৷ উপকরণ হলো বাংলার চিরন্তন শোলা এবং শুকনো খেজুরপাতা৷
পাটের বাহার
পণ্যের বস্তা, থলে ইত্যাদিতে পাটের ব্যবহার আজ আর প্রায় নেই৷ পাটশিল্প যেটুকু টিকে আছে, তা এই বাহারি ব্যাগ, বটুয়া, টেবিলম্যাট আর টুপিতে৷
উত্তুরে হাওয়া
কাঠ আর বেতের কাজ মানেই উত্তরবঙ্গ৷ দৃষ্টিনন্দন কাঠখোদাই ভাস্কর্য থেকে বেতের বাতিদান, বাঁশের কোঁড় দিয়ে তৈরি চায়ের কাপ, পানীয়ের গেলাস, এক বিপুল সম্ভার৷
বেতের বাহার
চিরকালীন চুবড়ি, ধামা, কুলো৷ কিন্তু ক্রেতার মন পেতে তাতেও লেগেছে রঙের ছোঁয়া৷ এর কারিগররা আসেন মূলত দক্ষিণবঙ্গ থেকে৷
মিশ্র শিল্প
বাংলায় পটের আঁকা আছে, আর পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বা আরও পশ্চিমে আছে রঙবাহারি নকশা করা কেটলি৷ দুইয়ের মিলমিশ ঘটেছে দিব্যি৷
মহিলা শিল্পী
এই একটি ব্যাপারে এখনও মেয়েরাই এগিয়ে৷ অলঙ্করণ থেকে শুরু করে হস্তশিল্পের সব কাজেই এখনও মহিলা শিল্পীদেরই কদর বেশি৷