1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পিকারকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট মুছলেন মহুয়া

১৭ মার্চ ২০২৩

স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কিত টুইট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পরে সেই টুইট তিনি মুছে দেন।

https://p.dw.com/p/4OkQh
Mahua Mitra
ছবি: Prabhakar Mani Tewari/DW

গত চার দিন ধরে লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি আছে। বিরোধীরা আদানি নিয়ে হইচই করছেন। আর বিজেপি সাংসদরা প্রবলভাবে দাবি করছেন, রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল বলেছিলেন, ভারতে বিরোধীদের বলতে দেয়া হয় না। পার্লামেন্টেও বিরোধীদের মাইক হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায়।

এরপরই বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, রাহুল গান্ধী বিদেশে গিয়ে ভারতীয় সংসদ ও গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন। তাকে সংসদে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর বিজেপি-র মন্ত্রী ও সাংসদরা একই দাবি জানান। গত দুইদিন ধরে লোকসভার অধিবেশন অচল থাকছে।

রাহুল গান্ধীও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করে বলেছিলেন, ''তিন দিন ধরে আমরা দেখছি, মাননীয় স্পিকার ওম বিড়লা শুধু বিজেপির মন্ত্রীদের বলতে দিচ্ছেন। এরপর সভা মুলতুবি ঘোষণা করে দিচ্ছেন।  একজন বিরোধী সাংসদকেও বলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।” টুইটে মহুয়া আরো বলেছেন, ''গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। স্পিকার তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি এই টুইটের জন্য জেলে যেতেও রাজি।''

মহুয়ার এই টুইট প্রায় দুই লাখ মানুষ দেখেছিলেন। দুই হাজার ৭৮৯বার রিটুইট হয়েছিল। নয় হাজার মানুষ লাভ সিম্বলে ক্লিক করেছিলেন।

লোকসভার রীতি হলো, স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যায় না। মহুয়া মৈত্র টুইট করে এই প্রশ্নটাই তুলেছিলেন।

গত বছর ডিসেম্বরে স্পিকার সাংসদদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, টুইটারে যেন স্পিকারকে নিয়ে কিছু লেখা না হয়। এটা ভালো নয়। তারপরেও স্পিকারকে নিয়ে মহুয়া টুইট করে গুরুতর অভিযোগ করেন।

মহুয়ার টুইটটি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। বিজেপি অধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চাইছিল। তারা শাস্তির দাবি করার আগেই টুইটটি মুছে দেয়া হয়। সূত্র জানাচ্ছে, দলের বৈঠকে সাংসদরা টুইটটি নিয়ো সোচ্চার হন। তারা দাবি করেন, টুইটটি মুছে দেয়া উচিত। এভাবে স্পিকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা যায় না। তারপর টুইটটি আর দেখা যায়নি।

জিএইচ/এসজি(টুইটার, আনন্দবাজার)