সারা বিশ্বের গুম পরিস্থিতি
গুম নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের ‘দ্য ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ বা ডাব্লিউজিইআইডি৷ তাদের সংগ্রহ করা তথ্য দিয়ে ছবিঘরটি তৈরি হয়েছে৷
তথ্য গ্রহণ ও প্রেরণ
বিভিন্ন দেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা মানবাধিকার সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া গুম সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে পাঠিয়ে থাকে জাতিসংঘের সংস্থা ডাব্লিউজিইআইডি৷ এসব ঘটনা নিয়ে সরকারগুলোকে তদন্ত করারও অনুরোধ জানিয়ে থাকে তারা৷ একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেসব ব্যাপারে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে থাকে ডাব্লিউজিইআইডি৷
বার্ষিক প্রতিবেদন
ডাব্লিউজিইআইডি-র কাছে ১৯৮০ সাল থেকে তথ্য আছে৷ প্রতিবছর হালনাগাদ তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি৷ ২০১৬ সালের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, ১৯৮০ সাল থেকে গত বছরের ১৮ মে পর্যন্ত ১০৭টি দেশের সরকারের কাছে ৫৫,২৭৩টি গুম সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ এখনও ৪৪ হাজার ১৫৯টি গুমের ঘটনা নিয়ে কাজ করছে তারা৷
শীর্ষে ইরাক
জাতিসংঘের সংস্থাটি ইরাক সরকারের কাছে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৫৬০টি গুম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে৷ এর মধ্যে ১৯৮৮ সালেই মোট ১১ হাজার ৫৪৬টি গুমের তথ্য পেয়েছে ডাব্লিউজিইআইডি৷
এরপরে শ্রীলংকা
১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে যথাক্রমে ৪,৭০০ ও ৪,৬২৪ জনের ব্যাপারে শ্রীলংকার সরকারের কাছে তথ্য জানতে চায় ডাব্লিউজিইআইডি৷ সব মিলিয়ে সংস্থাটির কাছে সে দেশ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৩৪৯টি গুমের খবর পৌঁছেছে৷
অন্যান্য দেশ
সংখ্যার বিচারে ইরাক আর শ্রীলংকার পরের কয়েকটি দেশ হচ্ছে আর্জেন্টিনা (৩,৪৪৬), আলজেরিয়া (৩,১৬৮), গুয়াতেমালা (৩,১৫৪) ও পেরু (৩,০০৬)৷
বাংলাদেশ
২০০৯ সাল থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ‘গুম’ হয়েছেন ৪৩২ জন৷ ফিরে আসা ব্যক্তিরা অপহরণকারীদের ব্যাপারে মুখ খোলেননি৷ অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে চিকিৎসাধীন৷