সাভারে শ্রমিকরা গার্মেন্টস পুড়িয়েছে
২৯ জুন ২০০৯সাড়ে ১১টার দিকে আরো একজন শ্রমিক নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে৷
দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হামিম গ্রুপের গর্মেন্টস-এর সামনে গিয়ে ওই গার্মেন্টস-এর শ্রমিকদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহবান জানায়৷ এ নিয়ে গার্মেন্টস-এর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের কথা কাটকাটি হয়৷ এক পর্যায়ে শ্রমিকরা হামিম গ্রুপের ৩টি গার্মেন্টস-এ আগুন ধরিয়ে দেয়৷ আগুনে ৩টি গার্মেন্টসই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও পোশাক শিল্পের মালিকরা সেখানে যান৷ তবে পুলিশ ছিল অনেকটা অসহায়৷
পরিস্থিতির কারণে সাভারে সব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ বিকেলে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি তুলে ধরেন৷ মন্ত্রী দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তৈরি পোশাক শিল্প রক্ষায় বিশেষ পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছেন৷
সাভারে তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয় শনিবার থেকে৷ শনি ও রোববারে সংঘর্ষের সময় আনসারের গুলিতে ২ জন শ্রমিক নিহত হন৷ এরপর মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা হলেও সংঘর্ষ থামেনি৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক