অ্যান্টিবায়োটিক
৭ এপ্রিল ২০১২ডা. মালিহা রশীদ জানান, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অত্যন্ত সুবিবেচনাপ্রসূত হওয়া প্রয়োজন৷ কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে, তা যেমন বুঝতে হবে৷ আবার কী মাত্রায় দিতে হবে তাও বুঝতে হবে৷ কিন্তু বাংলাদেশে এখন অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে৷ চিকিৎসকরা তো দিচ্ছেনই৷ আবার সাধারণ মানুষও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে ব্যবহার করছেন৷ যা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
তিনি বলেন, এজন্য এক শ্রেণীর চিকিৎসক যেমন দায়ী, তেমনি রোগীদেরও দায় রয়েছে৷ চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে দ্রুত রোগ সারিয়ে ভাল চিকিৎসকের সুনাম কুড়াতে চান৷ আর রোগীরাও চান দ্রুত আরোগ্য পেতে৷
ডা. মালিহা রশীদ বলেন, কিন্তু এতে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিই হচ্ছে৷ এক পর্যায়ে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে রোগীর আর কাজ হচ্ছেনা৷ দিতে হচ্ছে আরো তীব্র মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক৷ যা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে৷
তিনি বলেন, এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে৷ সবাইকে সচেতন করতে হবে৷ আর এক্ষেত্রে রোগীর চেয়ে চিকিৎসককেই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে৷ গড়ে তুলতে হবে সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন