সাগরের তাড়ায় লুইজিয়ানার আদিবাসীরা
প্রায় দু’শ বছর আগে বিয়ক্সিটিমাকাচোকতো আদিবাসীদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার৷ এবার সেই ভূমিকায় সাগর৷ অবশ্য সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হলেও নতুন ঘর পাচ্ছে আইল ডে জিন চার্লসের আদিবাসীরা৷
পুরোনো বাড়ি
আইল ডে জিন চার্লসে এক বিয়ক্সি-টিমাকাচোকতো আদিবাসী পরিবারের বাড়ি৷ এই বাড়িতে থাকা এখন ঝুঁকিপূর্ণ৷ সাইনবোর্ডে সে বিষয়ে সতর্ক করা হলেও পরিবারটি যে বাড়িটি ছেড়ে যেতে চায় না তা প্রকাশ পেয়েছে ‘বিক্রির জন্য নয়’ কথায়৷
৩৬ টি পরিবার
আইল ডে জিন চার্লসে এখন ৩৬টি পরিবারের বাস৷ সবাইকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে তৈরি বাড়িতে চলে যেতে হবে৷ ছবিতে জাল ফেলে মাছ ধরছেন এক আদিবাসী৷
সর্বগ্রাসী পানি
আইল ডে জিন চার্লসে যাওয়ার রাস্তার মাটি ভেঙে পড়ছে, রাস্তারও পানির নীচে যাওয়ার উপক্রম৷ তাই পাথর ফেলে রাস্তা রক্ষার চেষ্টা৷
সুদৃশ্য বাড়ি
আইল ডে জিন চার্লসে আদিবাসীদের আরেকটি বাড়ি৷
বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প
লুইজিয়ানার শ্রিভারের কাছে জায়গা দেখতে এসে নিজের মেয়ে নিকি স্মিথকে জড়িয়ে ধরেছেন মিলড্রেড নাকুইন৷ এখানেই তৈরি হবে তাদের নতুন বাড়ি৷ আইল ডে জিন চার্লসের আদিবাসীদের নতুন জায়গায় স্থানান্তরের জন্য ২০১৬ সালে ৪৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয় ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য মোট এক বিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার৷
৪০ মাইল জুড়ে ‘দ্য নিউ আইল’
আইল ডে জিন চার্লসের আদিবাসীদের নতুন আবাসন গড়ে তোলা হবে ৪০ মাইল দীর্ঘ এক এলাকায়৷ ‘দ্য নিউ আইল’ নামের সেই এলাকায় কেমন বাড়িতে আদিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা হবে তা সাংবাদিকদের দেখাচ্ছেন লুইজিয়ান অফিস অফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক প্যাট ফোর্বস৷
ক্রিস ব্রুনেটের নতুন ঠিকানা
ক্রিস ব্রুনেটকে তার ভবিষ্যৎ বাসস্থানের জায়গা দেখাতে নিয়ে এসেছেন তার ভাতিজা হাওয়ার্ড ব্রুনেট৷