মাস কয়েক আগের কথা৷ টকশোতে অংশ নিতে একটি টেলিভিশনে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার সহ-আলোচক ছিলেন একজন সংসদ সদস্য। তিনি সরকারি দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একজন নেতা। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তিনি তখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা। ডাকসুতে একবার নির্বাচনও করেছিলেন। যথেষ্ট ভদ্রলোক হিসাবে তখনকার মতো এখনো তার বেশ একটা পরিচিতি রয়েছে। টকশো শুরু হওয়ার কিছু সময় আগেই আমরা দুজন সেই টিভি স্টেশনে পৌছে গিয়েছিলাম। তো অপেক্ষা করতে করতে নানা বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হচ্ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ফোন এলো ওনার। এলাকা থেকে ফোনই বেশি। এর মধ্যে নানা ধরনের নির্দেশনা বা অনুমতি চেয়ে ফোনই ছিল বেশি। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, আবার ফোনও ধরছিলেন। এক পর্যায়ে আমাকে বললেন, ‘‘এমপি হয়ে আসলে শান্তি নেই! ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু আর থাকে না!''
আমি বললাম, ‘‘কিন্তু বিপরীত দিকে ক্ষমতার বিষয়টা এনজয়ও তো নিশ্চয়ই করেন?''
তিনি বললেন, ‘‘তা ঠিক। সেটা করি।''
তারপর একটু থেমে বললেন মোক্ষম কথাটি। ‘‘আসলে আমাদের দেশে একজন এমপি অপরিসীম ক্ষমতা ভোগ করে। কার্যত, তার এলাকায় সে একজন অঘোষিত রাজা। যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, লোক নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা, সবকিছুতেই তার ভূমিকা থাকে। কেউ যদি কাজ করতে চায়, অনেক সুযোগ থাকে।''
আমি কিছুটা বিস্ময় নিয়ে ‘রাজা সাহেব'-এর কথা শুনছিলাম। উনি তার বক্তব্যের সমর্থনে দু'একটা ঘটনার বর্ণনাও দিলেন। প্রতিটি ঘটনা তিনি কতটা সাফল্যের সঙ্গে ম্যানেজ করেছেন, সেটাও ওখানে থাকা সকলে গভীর আগ্রহ নিয়ে শুনলো। আমি জানতে চাইলাম, ‘‘পৃথিবীর আর কোনো দেশে কি এমপি সাহেবরা এত বিপুল ক্ষমতা ভোগ করেন?''
তিনি মৃদু হাসলেন। বললেন, ‘‘সম্ভবত না।''
সেদিন আমার ছাত্রজীবনের নেতা, বর্তমানের এমপি, আসলে চরম সত্য কথাটিই বলেছিলেন। পৃথিবীর আর কোনো দেশের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের একজন এমপির মতো এত বেশি ক্ষমতা ধারণ ও প্রয়োগ করেন না।
তবে এই যে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হওয়া এবং তারও চেয়ে অধিক ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারা—এর সবই কিন্তু সংবিধানপ্রদত্ত নয়। বাংলাদেশের সংবিধান শুরুতে এমপি সাহেবদেরকে যতটা ক্ষমতা দিয়েছে, সেটা পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের এমপিগণই পেয়ে থাকেন। তত্ত্বগতভাবে সংসদ সদস্যদের কাজ আসলে মোটা দাগে চারটি। প্রথমত, আইন প্রণয়ন। দ্বিতীয়ত, জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়ে সংসদে বিতর্কে অংশ নেওয়া। তৃতীয়ত, সরকারের আয়-ব্যয় ও বাজেট অনুমোদন করা। চতুর্থত, সংসদীয় কমিটিগুলোর মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
যে কাজগুলোর কথা এখানে উল্লেখ করা হলো, এর কোনোটিই কিন্তু একজন সংসদ সদস্যকে এলাকাভিত্তিক রাজত্ব প্রদান করে না। তাহলে তিনি নিজ এলাকায় এত বেশি ক্ষমতাবান হন কিভাবে? সেটা আসলে এমপি সাহেবরা নিজেরাই করে নিয়েছেন। আইন প্রণয়নের যে ক্ষমতা তাদের রয়েছে, সেটিই প্রয়োগ করে, নতুন নতুন আইন বানিয়ে তারা নিজেদেরকে অপরিসীম ক্ষমতাবান করে নিয়েছেন। ফলে আইনটা এমন হয়েছে, এলাকার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তাঁর অনুমোদন ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না। স্থানীয় পর্যয়ে সকল নিয়োগে তার হাত থাকে। আর অলিখিতভাবে থানা পুলিশ প্রশাসন—সকলের উপরই থাকে তার খবরদারি। ফলে যে কোনো উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন, ঠিকাদারি, অর্থনৈতিক সকল কর্মকাণ্ডে থাকে এমপি সাহেবের প্রভাব। এটা তো কেবল এলাকায়, এর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়েও থাকে তার অবাধ যাতায়াত। তদবির বাণিজ্যে এমপি সাহেবদের চেয়ে ক্ষমতাবান আর কেউ নেই। ফলে দেখা যায়, অধিকাংশ সংসদ সদস্যই তার উপর প্রাথমিকভাবে অর্পিত দায়িত্বের চেয়ে এসব কাজ করতেই বেশি আগ্রহ অনুভব করেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে বলে এরই মধ্যে নানা প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে। মনোনয়নপত্র দাখিল হয়ে গেছে। আমাদের নির্বাচন পদ্ধতিতে নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে চমৎকার দুটি শর্ত হচ্ছে প্রার্থীকে তার অর্থ-সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হয়, আর তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে—সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। এবার যারা প্রার্থী হয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তারা প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকতে পারুক বা না পারুক, এরই মধ্যে তারা তাদের সেই তথ্যাবলী নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন। এ তথ্যগুলো আবার ‘ওপেন'। তাই গত কদিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়াতে বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হচ্ছে—কার কত সম্পদ রয়েছে, গত কয়েক বছরে কার সম্পদ কত বেড়েছে, সেসবের বিস্তারিত। অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধির হার দেখে মানুষের চোখ কপালে উঠেছে। তারা হয়ত নিজেকেই প্রশ্ন করেছে, সারা দুনিয়াতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, তখন এই এমপি সাহেবদের বিত্ত-বৈভব এভাবে ফুলেßফেঁপে উঠছে কিভাবে?
অর্থ সম্পদ বৃদ্ধির একটা ভদ্রজনোচিত হার থাকে। ব্যবসায়-বাণিজ্য খুব ভালো হলে পাঁচ দশ বছরে সেটা হয়তো দেড় দুই গুণ বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু সেটা যদি দশ, পনের, পঞ্চাশ, একশ', দুইশ', বা চারশ' গুণ বেড়ে যায়, তখন সেটাকে কী বলা যায়? আমাদের এখানে হয়েছে কিন্তু তাই। দু-একটা উদাহরণ দিই। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী এবার মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনি হলফনামায় তিনি তার আয় ও সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকার। এবারের নির্বাচনি হলফনামায় হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবুর আয়সহ সম্পদ দেখানো হয়েছে ৬৬ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৭ টাকার। মাত্র ১৫ বছরে আয়সহ তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪৯৫ গুণ! ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের একাংশ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। গত ১০ বছরে সংসদ সদস্য হিসেবে তার নগদ টাকা বেড়েছে ২২২ গুণ! বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদও। জাহিদ আহসান রাসেল গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এবং বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ২০০৮ সালে তিনি তিন লাখ ১০ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন। ১৫ বছরের ব্যবধানে ১৫২ গুণ বেড়ে এখন তিনি স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে চার কোটি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সম্পদের মালিক।
এরকম উদাহরণ প্রচুর, প্রতিদিনই বিভিন্ন মিডিয়াতে এসব বিস্ময়কর সব হিসাব প্রকাশিত হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ প্রতিবাদও করছেন না। কারণ এমন হিসাব তো সংসদ সদস্যগণ নিজেরাই স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, পত্র-পত্রিকায় যে হিসাব দেখে সাধারণ মানুষ আঁতকে উঠেছেন, সেটা আসলে তাদের প্রকৃত সম্পদের ছোট্ট একটা অংশ মাত্র। আমাদের এমপিদের অনেকেরই বিদেশে বাড়ি, সম্পদ রয়েছে। সেগুলো ওপেন সিক্রেট। একাধিক মিডিয়াতে সেসব নিয়ে রিপোর্টও হয়েছে। সেই লোকগুলো এবার যখন হলফনামা জমা দিয়েছেন, বিদেশের সেই সম্পদগুলোর তথ্য কিন্তু চেপে গেছেন। ফলে প্রকৃত সম্পদের হিসাব যদি তারা দিতেন, তাহলে হয়তো বিকৃতিটা আরো স্পষ্ট হতো। মানুষ বুঝতে পারতো, একদল লুটেরাই আসলে আমাদের পবিত্র জাতীয় সংসদকে দখল করে রেখেছে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই আয়ের দৃশ্যমান হিসাব, এটা কি খুব বেশি অস্বাভাবিক? একজন মানুষ কি বৈধভাবে এত আয় করতে পারে না? হয়তো পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে তার আয়ের দৃশ্যমান উৎসগুলোও স্পষ্ট হতে হবে। একজন সংসদ সদস্য আসলে কত আয় করেন? সরকারি একটা হিসাব আছে। তাদের মাসিক বেতন বা পারিশ্রমিক ৫৫ হাজার টাকা, প্রতি মাসে নির্বাচনি এলাকার ভাতা পেয়ে থাকেন ১২ হাজার ৫ শ' টাকা, সম্মানী ভাতা ৫ হাজার টাকা, পরিবহণ ভাতা ৭০ হাজার টাকা, ভ্রমণ খরচ ১০ হাজার টাকা, টেলিফোন ভাতা ৭ হাজার ৮ শ' টাকা। এর বাইরে লন্ড্রি ভাতা, ক্রোকারিজ টয়লেট্রিজ কেনার জন্য আরো কিছু খুচরা আয় আছে। সবমিলিয়ে কত দাঁড়ায়? এক লাখ ৬৫ হাজার টাকার মতো। এই টাকা দিয়েই তাদের সাংসারিক ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। এখান থেকে সঞ্চয় করেই কি সংসদ সদস্যগণ এত বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন? আমার মনে হয় এটা একটা হাস্যকর প্রশ্ন।
আমরা তো দেখি, বাংলাদেশে একজন সংসদ সদস্য হওয়া মানেই যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়া। এলাকায় থাকা সংসদ সদস্যের জীবন যাপন থেকে ধারণা করি, আর পাঁচ বছর পর পর হলফনামা দেখে সে বিষয়ে কিছুটা নিশ্চিত হই। সমস্যাটা হচ্ছে—আমরা সাধারণ মানুষেরা এসব দেখি, কিন্তু কিছু বলতে পারি না। কিভাবে হলো এত অর্থ-সম্পদ, এ নিয়ে প্রশ্ন করারও যেন কেউ নেই। কেউ প্রশ্ন করে না। এই এতগুলো বছর ধরে হলফনামা দেওয়ার রীতি হয়েছে, প্রতিবারই এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানই এ নিয়ে প্রশ্ন করছে না। অথচ দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন নামে একটা মহাক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কারো অভিযোগ করার দরকার নেই, যেহেতু হলফনামায় নিজেরাই স্বীকার করেছে, দুদক কি পারতো না স্বতপ্রণোদিত হয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে? কিন্তু তারা তা করছে না, কখনো করেছে বলে আমরা জানি না।
এসব হলফনামা দেখার পর একটা প্রশ্ন কিন্তু উঠতেই পারে—দেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? স্মাগলিং, জালটাকা তৈরি, মাদক বেচা, এসবকে যদি ব্যবসা হিসাবে বিবেচনা না করেন, তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যায় এমপি হতে পারাটাই সম্ভবত সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। তাবৎ দুনিয়া ঘুরে আর কোনো ব্যবসা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাতে এত অল্প সময়ে এত বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া সম্ভব।
কিছুদিন আগে একটা খবর দেখলাম। আমাদের এমপিদের মধ্যে ৬১ শতাংশ নাকি ব্যবসায়ী। অর্থাৎ, তিনশ' জন এমপির মধ্যে ১৮৩ জনেরই মূল পেশা হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আগে কেবল ব্যবসা করতেন, এখন সেটার পাশাপাশি তারা এমপি হয়েছেন। এই যে ব্যবসায়ীদের এমপি হতে এত বিপুল আগ্রহ, সেটার কারণ কিন্তু আর কিছু নয়। কারণ হচ্ছে- তারা টের পেয়ে গেছে, এতদিন তারা যত ব্যবসা করেছে, সেসব আসলে এই সংসদে বসার তুলনায় কিছুই নয়। অনেক বেশি অর্থ সম্পদ আয় হয় এই পেশায়।
দেশটা আসলে এভাবেই চলছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করার জন্য যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছানো নিয়ে। আইন প্রণয়ন বা সংশোধন নিয়ে তাদের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। একটা হিসাবের দিকে বরং তাকানো যেতে পারে। কিছুদিন আগে টিআইবি'র একটা গবেষণা দেখলাম। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান (একাদশ) জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে ২২ অধিবেশন পর্যন্ত (জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২৩) সময়ে সংসদের মাত্র ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে। বিষয়টি উপলব্ধির জন্য অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ২০১৯-২০ সালে যুক্তরাজ্যে এর হার ছিল ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, আর ভারতে ২০১৮-১৯ সালে এ হার ছিল ৪৫ শতাংশ। আসলে আইন প্রণয়ন নয়, জাতীয় সংসদে আমাদের সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগ সময় ব্যয় হয় বিশেষ ব্যক্তির স্তুতি, নিজেদের ব্যবসায়িক ধান্দার অনুকূলে নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে।
বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছে—‘আঙুল ফুলে কলাগাছ।' সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধির চলমান ধারা দেখে এখন মনে হয় এই প্রবাদটির পরিবর্তন জরুরি হয়ে গেছে। কলাগাছ বললে এখন যেন প্রকৃত বাস্তবতাটা ঠিক প্রকাশিত হয় না। বরং বটগাছই হতে পারে এখানে যথাযথ উদাহরণ। তাহলেই যেন তাদের লাগামছাড়া সম্পদবৃদ্ধিকে যথাযথ মূল্যায়ন করা যায়।