শেখ হাসিনার ত্রিপুরা সফর আবেগমাখা এক ঐতিহাসিক সফর
১৩ জানুয়ারি ২০১২ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করলো ত্রিপুরা৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন মঞ্চে ও সভায় অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাজ্যের মন জয় করে নেন৷ বললেন, ত্রিপুরা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের এক তীর্থভূমি৷ ভারতের সঙ্গে মৈত্রী সুদৃঢ় হোক, ত্রিপুরার সঙ্গে বন্ধুত্ব হোক গাঢ়৷ কাতারে কাতারে মানুষ শেখ হাসিনাকে দেখতে উদ্বেল৷ কাঁটাতাঁরের ব্যবধান ভুলে দুদেশের মানুষ একে অপরের হৃদয় ছুঁয়ে গেল৷
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এই সফর দুদেশের কূটনীতিতে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ এই সফর দুদেশের কূটনীতিতে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ তিস্তা নদীর জল-বন্টন বিতর্কের বরফ কিছুটা গলাতে সক্ষম হবে৷ শেখ হাসিনা ত্রিপুরার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে তিনি কতটা আন্তরিক সেকথা তুলে ধরেন৷ পাশাপাশি ভারতের দিক থেকেও আরো বেশি সহযোগিতা আশা করে বাংলাদেশের আমজনতা৷
শেখ হাসিনার ত্রিপুরা সফর প্রসঙ্গে ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণোদয় সাহা শিক্ষা ক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতার উল্লেখ করে ডয়চে ভেলেকে বললেন,এবিষয়ে খুব শীঘ্রই সমঝোতা স্মারকপত্র সই হতে চলেছে যার অধীনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা ও অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে৷দুদেশের মধ্যে বিনিময়ের যে-সব ক্ষেত্র আছে, শেখ হাসিনা তা আরো সম্প্রসারিত করতে চান৷এই সফরে যে সদর্থক বার্তা উনি দিয়েছেন, তাহলো দ্বিপাক্ষিক নৈকট্য বাড়িয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে৷উপমহাদেশের বড় শত্রু দারিদ্র্য৷ দারিদ্র্য মোচনে সার্বিক স্তরে পড়োশি দেশগুলির সহযোগিতা অপরিহার্য৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বললেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কটা অটুট আছে সেই বার্তাই তিনি দিতে চেয়েছেন৷ আগামীদিনে তিস্তাচুক্তি ও ট্রানজিট রুট ভারতের জন্য খুলে দেবার যে প্রচেষ্টা চলেছে সেই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ যে উদ্যোগি সেই বার্তাও তিনি দিতে চেয়েছেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক